4.3 C
London
January 22, 2025
TV3 BANGLA
আন্তর্জাতিক

মুসলিম পুরুষদের চার বিয়ের অধিকার আছেঃ বোম্বে হাইকোর্ট

মুসলিম পুরুষদের একসঙ্গে চারজন স্ত্রী রাখার অধিকার আছে বলে রায় দিয়েছে ভারতের বোম্বে হাইকোর্ট। ভারতীয় এই আদালত তার রায়ে বলেছে, মুসলিম পুরুষরা একাধিক বিবাহ নিবন্ধন করতে পারেন কারণ তাদের ব্যক্তিগত আইনে তাদের একসাথে চারটি স্ত্রী রাখার অধিকার রয়েছে।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে আলজেরিয়ার এক নারীর সাথে নিজের তৃতীয় বিবাহ নিবন্ধন করতে চেয়েছিলেন এক মুসলিম ব্যক্তি। কিন্তু মহারাষ্ট্রে বিবাহ আইনের কারণে তার সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়।

পরে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন এবং তার দায়ের করা আবেদনের শুনানি শেষে আদালত এই আদেশ দেন।

এনডিটিভি বলছে, বিয়ের পরও থানে মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশন এই দম্পতিকে তাদের ম্যারেজ সার্টিফিকেট দিতে অস্বীকার করেছিল। তাদের যুক্তি ছিল, মহারাষ্ট্র রেগুলেশন অব ম্যারেজ ব্যুরোস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অব ম্যারেজ অ্যাক্টের অধীনে বিয়ের সংজ্ঞা হিসেবে শুধুমাত্র একটি একক বিবাহকে বিবেচনা করা হয়, একাধিক বিয়ে নয়।

তবে গত ১৫ অক্টোবর শুনানির সময় বিচারপতি বিপি কোলাবাওয়াল্লা এবং সোমশেখর সুন্দরেশানের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট বেঞ্চ কর্তৃপক্ষের ওই যুক্তি ও ম্যারেজ সার্টিফিকেট না দিতে চাওয়াকে “সম্পূর্ণ ভুল ধারণা” বলে অভিহিত করেন এবং বলেন, আইনটি মুসলিম পুরুষদের একাধিক বিবাহ নিবন্ধন করতে মোটেই বাধা দেয় না কারণ এটি (একাধিক বিবাহ) মুসলিম ব্যক্তিগত আইনের অধীনে অনুমোদিত।

বোম্বে হাইকোর্ট বলেছে, “মুসলিমদের ব্যক্তিগত আইনের অধীনে, তারা একসঙ্গে চারজন স্ত্রী রাখার অধিকার রাখেন। একবার এই যুক্তি গ্রহণ করলে আমরা (মহারাষ্ট্র) কর্তৃপক্ষের আবেদন গ্রহণ করতে পারি না যে, মহারাষ্ট্র রেগুলেশন অব ম্যারেজ ব্যুরো এবং রেজিস্ট্রেশনের বিধানের অধীনে শুধুমাত্র একটি বিবাহ নিবন্ধন করা যেতে পারে, এমনকি সেটি মুসলিম পুরুষের ক্ষেত্রেও।”

আদালত আরও বলেছে, “মুসলিমদের ব্যক্তিগত আইনগুলোকে বাদ দেওয়া হয়েছে এমন ইঙ্গিত পাওয়ার মতো এই আইনে একেবারে কিছুই নেই।”

সূত্রঃ ইন্ডিয়া টুডে

এম.কে
২৪ অক্টোবর ২০২৪

আরো পড়ুন

অভিবাসন প্রত্যাশীদের আলবেনিয়ায় পাঠাবে ইটালি

তুর্কি-ইসরাইলি দ্বৈত নাগরিকত্ব বাতিল করছে তুরস্ক!

চাপে বাইডেন, একই দিনে করলেন ‘দুই মস্ত ভুল’