যুক্তরাজ্য সরকারের £৩৯ বিলিয়ন হাউজিং অঙ্গীকার ঘিরে উদ্বেগ বাড়ছে মর্টগেজ ও প্রপার্টি অর্থায়ন খাতে। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই ঘোষণায় স্পষ্টতা নেই—না আছে সময়সীমা, না আছে প্রথমবারের ক্রেতাদের জন্য কোনো বাস্তব সহায়তা।
ব্রোকার ও ঋণদাতারা মনে করেন, তরুণ ও কী-ওয়ার্কারদের জন্য হোমওনারশিপে প্রবেশের পথ উন্মুক্ত করতে হলে নীতিগত পরিবর্তন জরুরি ছিল। কিন্তু বরাদ্দের বেশিরভাগই যাচ্ছে সামাজিক ভাড়াবাড়ির দিকে, মর্টগেজ-নির্ভর জনগোষ্ঠী থেকে মুখ ফিরিয়ে।
CT International-এর সিইও স্যার ড. আনাম উল ইসলাম বলেন, “Help to Buy”-এর মতো কোনো সহায়তার প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু চ্যান্সেলর শুধুই ভাড়াভিত্তিক হাউজিংয়ে মনোযোগ দিচ্ছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, Homes England যেখানে বছরে £২.১ বিলিয়ন দিচ্ছে, সেখানে নতুন অঙ্গীকারে বরাদ্দ বেড়েছে বছরে মাত্র £১.৮ বিলিয়ন—তাও পার্লামেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত।
২৫ থেকে ৩৯ বছর বয়সী প্রথমবারের ক্রেতাদের উপেক্ষা করায় গৃহমালিকানা চাহিদা কমে যেতে পারে। মর্টগেজ আবেদন হ্রাস পাবে, ঋণ সরবরাহ শৃঙ্খলেও পড়বে প্রভাব।
সরকারের ১২টি নতুন শহর গঠনের প্রতিশ্রুতি ধোঁয়াশাপূর্ণ, কারণ সেগুলোর জন্য অর্থায়নের সুনির্দিষ্ট রূপরেখা নেই। ভায়াবিলিটি পরীক্ষা শুরু হলেও প্রকল্প পরিকল্পনায় স্থবিরতা চলছে।
বিনিয়োগকারীদের আস্থা পেতে হলে দীর্ঘমেয়াদি তহবিল নিশ্চয়তা দরকার। তা না হলে বহুলপর্বের হাউজিং প্রকল্পে বেসরকারি অর্থ আসবে না।
এক মর্টগেজ ব্রোকার বলছেন, “এই পরিকল্পনার ফাঁকগুলো বেসরকারি বিনিয়োগে ভরানোর কথা বলা হলেও, হোমওনারশিপের কোন পরিষ্কার পথই আমরা দেখতে পাচ্ছি না। এটা বিশৃঙ্খলা ছাড়া কিছু নয়।”
তিনি আরও বলেন, “অ্যাফোর্ডেবল ভাড়ার দিকে একচেটিয়া মনোযোগ দিয়ে সরকার প্রজন্মের পর প্রজন্মকে ভাড়ার নির্ভরশীলতায় আটকে রাখার ঝুঁকি নিচ্ছে।”
সূত্রঃ প্রপার্টিসোপডটকম
এম.কে
২৩ জুন ২০২৫