ব্রিটিশ ব্যাংকের উপর সন্ত্রাসীদের অর্থায়ন ও সহায়তার অভিযোগে উঠেছে। মার্কিন আদালতে স্ট্যান্ডার্ড চার্টাড ব্যাংকের নামে মামলা হবার সমূহ সম্ভাবনা ছিল, যদিও ব্যাংক শেষ মূহুর্তে মামলা এড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়।
লর্ড ক্যামেরন সরকার ২০১২ সালে ব্যাংকের পক্ষে অবস্থান নিয়ে মার্কিন বিচার বিভাগের মামলা এড়ানোতে সাহায্য করেন।
নিউইয়র্ক কোর্টে দায়ের করা নথি দাবি করে ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত উক্ত ব্যাংক কর্তৃক ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি লেনদেন করা হয়। মার্কিন সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত একজন বিশেষজ্ঞ হিজবুল্লাহ, হামাস, আল-কায়েদা এবং তালেবান সহ “সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীদের” অর্থায়ন ও লেনদেন চিহ্নিত করতে সক্ষম হোন।
এক বিবৃতিতে ব্যাংক বলেছে তাদের উপর উত্থাপিত পূর্ববর্তী অভিযোগগুলি মার্কিন কর্তৃপক্ষ দ্বারা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা হয় নাই।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের উপর অভিযোগ আনা হয়েছিল সুইফট লেনদেনের মিথ্যা তথ্য ও ডাটা সরবারাহ করার জন্য। আমেরিকার মূল অভিযোগ ছিল ইরানের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে আর্থিক লেনদেন করা।
উল্লেখ্য যে, ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সাবেক যুক্তরাজ্য প্রধানমন্ত্রী লর্ড ক্যামেরনের সরকারের তৎকালীন চ্যান্সেলর জর্জ ওসবার্ন গোপনে ব্যাংকের পক্ষে অবস্থান নেন বলে ধারণা করা হয়। যার ফলে তিন মাস অতিবাহিত হবার পর, মার্কিন বিচার বিভাগ ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা না করার সিদ্ধান্ত নেয়।
২০১২ সালের ১০ সেপ্টেম্বর, মিঃ ওসবার্ন মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফেডারেল রিজার্ভের সভাপতি বেন বার্নান ও তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ট্রেজারি সেক্রেটারি, টিম গিথনারকে ব্যাংকের বিষয়ে চিঠিতে লিখেন। পরবর্তীতে তিনি তাদের সাথে সাক্ষাৎও করেন বলে জানা যায়।
এফবিআই এবং মার্কিন বিচার বিভাগ উভয়ই এই ব্যাংকের উপর মানি লন্ডারিং মামলা নিয়ে মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করে। লর্ড ক্যামেরন কিংবা মিঃ ওসবার্ন কেউই এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
সূত্রঃ বিবিসি
এম.কে
০৫ জুন ২০২৪