TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় হুমকি ইসলামপন্থী ও ডানপন্থী চরমপন্থাঃ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কুপার

যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার বলেছেন, ইসলামপন্থী ও চরম ডানপন্থী চরমপন্থা এখনো দেশের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। ২০০৫ সালের ৭ জুলাই লন্ডনে আত্মঘাতী বোমা হামলার ২০তম বার্ষিকী উপলক্ষে তিনি এই মন্তব্য করেন।

সেই দিনে চারজন আত্মঘাতী হামলাকারী লন্ডনের তিনটি আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রেন ও একটি বাসে বিস্ফোরণ ঘটায়, যাতে ৫২ জন নিহত ও ৭৭০ জনের বেশি আহত হন।

পরবর্তীতে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে পুলিশ ভুলবশত নির্দোষ নাগরিক জ্যাঁ চার্লস ডি মেনেজেস-কে গুলি করে হত্যা করে।

সানডে মিররে লেখা এক নিবন্ধে কুপার বলেন, ওই ঘটনার পর ‘প্রিভেন্ট’ কর্মসূচির গুরুত্ব বেড়ে যায় এবং দেশব্যাপী মানুষ ঘৃণার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়।

তিনি বলেন, ইসলামপন্থী চরমপন্থা এখনো প্রধান হুমকি, এরপর রয়েছে চরম ডানপন্থী চরমপন্থা। পাশাপাশি শত্রু রাষ্ট্র, সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র, সাইবার অপরাধ এবং অনলাইনে চরমপন্থায় প্ররোচিত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ছে।

চরমপন্থা প্রতিরোধে কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি সময়ের সঙ্গে বিবর্তিত হয়েছে। ২০২৫ সালের এপ্রিলে ‘টেররিজম (প্রোটেকশন অব প্রিমাইসেস) অ্যাক্ট’, যা ‘মার্টিন’স ল’ নামে পরিচিত, আইনে পরিণত হয়।

এই আইন অনুযায়ী, যেসব স্থানে ২০০ বা তার বেশি মানুষের উপস্থিতির সম্ভাবনা থাকে, তাদের সন্ত্রাসী হামলার সম্ভাব্যতা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিতে হবে।

আর যেসব স্থানে ৮০০ জনের বেশি উপস্থিত হতে পারে, সেখানে সিসিটিভি, ব্যাগ তল্লাশি, যানবাহন পরীক্ষা প্রভৃতি সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এই আইন প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ফিগেন মারি, যিনি ২০১৭ সালের ম্যানচেস্টার এরিনা হামলায় নিহত ২৯ বছর বয়সী ছেলে মার্টিন হেট-এর স্মৃতিতে প্রচার চালিয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার আইনটি পাস হওয়ার পর বলেন, “এটি যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তার জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ফিগেনের সাহস ও সংগ্রাম আজ মার্টিনের নামকে অমর করে রেখেছে।”

সূত্রঃ এওএল

এম.কে
০৭ জুলাই ২০২৫

আরো পড়ুন

মুসলিম প্রতিষ্ঠান রক্ষায় যুক্তরাজ্যে ১৫ কোটি ডলারের তহবিল

এমপি অ্যামেস হত্যায় অভিযুক্ত যুবক আটক

ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে যেসব পরামর্শ দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার

নিউজ ডেস্ক