সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, শুধু ২০২০ সালেই চিকিৎসাসেবায় জড়িত চিকিৎসক, নার্স ও থেরাপিস্ট অন্তত ৭২ জন আত্মহত্যা করেছেন। এ হিসাবে প্রতি সপ্তাহে গড়ে একজনের বেশি আত্মহত্যা করেছেন। এছাড়া ২০২২ সালে চিকিৎসাক্ষেত্রে জড়িতদের মধ্যে ৩৬০টি আত্মহত্যা চেষ্টার ঘটনাও ঘটেছে।
পরিসংখ্যান আরও বলছে, গড়পড়তায় সাধারণ মানুষের তুলনায় যুক্তরাজ্যের নারী চিকিৎসকদের মধ্যে আত্মহত্যার হার চার গুণ বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা পেশায় জড়িতদের মধ্যে আত্মহত্যার এমন উচ্চহারের জন্য প্রথমেই দায়ী অত্যধিক কাজের চাপ এবং এ থেকে সৃষ্ট বিষণ্নতা। কঠোর নিয়মশৃঙ্খলের এই পেশায় রয়েছে নানা ধরনের প্রতিযোগিতা, দলাদলি, গুন্ডামির মতো বিষয়ও। এ ছাড়া হয়রানি, ঘুমের অভাবজনিত কারণেও কর্মীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে।
গেইল কিনম্যান নামের এক চিকিৎসাবিজ্ঞানী বলেন, যুক্তরাজ্যে কয়েকজন মাত্র চিকিৎসক, চিকিৎসা উপকরণ ও জনশক্তিও কম। কিন্তু অসীম কাজের চাপ। স্বাস্থ্যকর্মীদের কাঁধে রোগীদের জন্য আত্মত্যাগ ও আপন জীবন উজাড় করার ভার চাপিয়ে দেওয়া হয়।
প্রচণ্ড কাজের চাপে চিকিৎসকরা রোগী বনে যাওয়ার ঘটনাও কম নয়। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে তুলনামূলক জুনিয়র চিকিৎসরাই এ অতিরিক্ত কর্মঘণ্টার শিকার হন। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত কাজ করেও কাজ শেষ করতে পারেন না, এমন নজিরও আছে।
প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থী হয়ে হাসপাতালে ভর্তির তিন-চার বছর পর মানসিক রোগী হয়ে চিকিৎসার জন্য একই হাসপাতালের বিছানায় পড়ে থাকার দৃষ্টান্তও রয়েছে।
এক চিকিৎসক জানান, অতিরিক্ত সময় কাজ করেও সিনিয়র ডাক্তারের দেওয়া কাজ শেষ করতে না পারায় শুনতে হয় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ।
এম.কে
২৮ জুলাই ২০২৩