ফুলহামের একটি অতি-প্রিয় ইতালিয়ান রেস্তোঁরার মালিক, স্কিলড ওয়ার্কার ভিসার কঠোর পরিবর্তনের কারণে ওয়েটার বা কিচেন পোর্টার খুঁজে পাচ্ছেন না বলে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন।
অ্যারন রুটিগলিয়ানো যিনি গোলা নামের রেস্তোরাঁ চালাচ্ছেন তিনি বলেন, বিদেশ থেকে আগত শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন বৃদ্ধির কারণে রেস্তোঁরা চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে গিয়েছে।
স্ট্যামফোর্ড ব্রিজ এবং ক্র্যাভেন কটেজের সন্নিকটে অবস্থিত গোলা রেস্তোরাঁটি ভোজন রসিকদের জন্য খুব প্রিয়। তাছাড়া চেলসি এবং ফুলহাম ফুটবলারাও নিয়মিত এই রেস্তোরাঁয় ভোজন করে থাকেন।
পঞ্চাশ বছর বয়সী অ্যারন রুটিগলিয়ানো, যিনি ইতালীয় আর্সেনাল মিডফিল্ডার জোর্গিনহো এবং প্রাক্তন চেলসির ম্যানেজার আন্তোনিও কন্টিকের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসাবে পরিচিত। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন অনাগত পরিবর্তনগুলির কারণে তাকে এখন অনেক বেশি মজুরি দিতে হবে।
অ্যারন রুটিগলিয়ানো বলেন, “ আমরা কীভাবে বর্তমানে ব্যবসা চালাচ্ছি তা ব্যাখ্যার বাইরে। এটি একটি দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। লন্ডনে প্রতিদিন অনেক রেস্তোঁরা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কর্মীর অভাবে। সমস্ত ব্যয় কাভার করে ব্যবসা করতে হলে বর্তমানে আমাকে ৩৫ পাউন্ড দরে এক বাটি পাস্তা বিক্রি করতে হবে। তবে সেই পাস্তা তৈরি করার মানুষ দুষ্কর হয়ে যাচ্ছে খুঁজে পেতে।”
মিঃ রুটিগলিয়ানো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন প্রথম ব্রেক্সিট সম্পাদন করা হল যার ফলে ইউরোপের মানুষ আসার পথ রুদ্ধ হয়ে গেলো। এখন এই নতুন নূন্যতম মজুরি আমাদের একেবারে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবে। যেখানে আগে কর্মীদের প্রতিদিন হাজার হাজার সিভি পেতাম কাজের জন্য সেখানে এখন ১০ টিও সিভি পাই না।
আইন সংস্থা চার্লস রাসেল স্পিচিলসের অংশীদার কেলভিন ট্যানার বলেছেন, স্কিলড ওয়ার্কার ভিসা অ্যাপ্লিকেশনগুলিতে ভিড় কমছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, এই পরিবর্তনগুলি ব্যবসায় এবং উদ্যোক্তাদের যুক্তরাজ্যে বিনিয়োগ থেকে বিরত রাখতে পারে।
হোম অফিসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, “ প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্যে বর্তমানের অভিবাসনের ব্যাপারে কঠোর নীতি বাস্তবায়নের পক্ষে কাজ করছেন। এ কারণেই সরকার এই সপ্তাহে একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। যে সিদ্ধান্ত নেট মাইগ্রেশন কমাতে এবং ব্রিটিশ জনগণের পক্ষে কাজ করবে।”
উল্লেখ্য যে, আগামী ৪ এপ্রিল থেকে স্কিলড ওয়ার্কার রুটে বিদেশী কর্মীদের ৩৮,৭০০ পাউন্ড অর্থ প্রদান করতে হবে। যাদের ন্যূনতম বেতন ছিল বছরে ২৬,২০০ পাউন্ড। যুক্তরাজ্যের নেট মাইগ্রেশনকে কমানোর জন্য ভিসার নিয়মে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার।
সূত্রঃ দ্য স্ট্যান্ডার্ড
এম.কে
২৮ মার্চ ২০২৪