মার্কিন ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও তাদের জার্মান সহযোগী বায়োনএটেক উদ্ভাবিত করোনা টিকার প্রথম চালান যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) আসা এই টিকার ডোজের পরিমাণ সম্পর্কে দেশটি কিছু জানায়নি। তবে আগামী সপ্তাহেই ৮ লাখ টিকার ডোজ দেওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী যুক্তরাজ্য সরকার।
ইতোমধ্যে টিকা প্রদানের কর্মসূচি শুরু করতে সব প্রস্তুতি শেষ করেছে দেশটি। এখন কেবল প্রয়োগের পালা। নিরাপত্তার কারণে টিকার ডোজগুলো একটি গোপন স্থানে নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে হাসপাতালের কেন্দ্রগুলিতে নেওয়া হচ্ছে।
ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) প্রধান নির্বাহী ক্রিস হপসন জানিয়েছেন আগামী মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) থেকে টিকা প্রদান শুরুর পর গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালগুলিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কিছু মানুষকে টিকা দেওয়া হবে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা আশা করছি আরও কিছু টিকার ডোজ দ্রুত পাব’।
ওয়েলসের ফার্স্ট মিনিস্টার মার্ক ড্রেকফোর্ড বলেছেন, আগামী মঙ্গলবার থেকে মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এর ফলে মহামারি থেকে আমরা দ্রুত মুক্তি পাব।
যুক্তরাজ্য আশা করছে বছর শেষে আরো টিকার ডোজ আসবে। তবে এখনই তার পরিমাণ বলতে পারছে না। এজন্য এনএইচএস বলছে, চাহিদা অনুসারে টিকার ডোজ নাও আসতে পারে এজন্য যুক্তরাজ্যকে সেই ভিত্তিতে ডোজ প্রদানের কর্মসূচি নিতে হবে।
বেলজিয়ামে উৎপাদিত হচ্ছে ফাইজার ও বায়োএনটেক উদ্ভাবিত করোনার ভ্যাকসিন। যুক্তরাজ্যের অনুমোদনের পর এখন তা সরবরাহ করছে ফাইজার।
ইংল্যান্ডের উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রথম ধাপের টিকা প্রদান কার্যক্রমের মাধ্যমে ৯৯ শতাংশ মৃত্যু প্রতিরোধ ও হাসপাতালে ভর্তি ঠেকানোর আশা করছে ব্রিটেন।
৮ লাখ ডোজ আগামী সপ্তাহের পৌঁছবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যমন্ত্রী অলোক শর্মা বিবিসি রেডিও’র প্রোগ্রামে বলেন, আমরা পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী, এই সময়ের মধ্যে ৮ লাখ ডোজ পাওয়া যাবে। এছাড়া এই বছরের শেষের দিকে আমরা আরও কিছু ডোজের আশা করব। তবে এর পরিমাণ আপনাকে জানাতে পারব না।
গত ৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ফাইজার ও বায়োএনটেক উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকার অনুমোদন দেয় যুক্তরাজ্য।
সূত্র: বিবিসি
৪ ডিসেম্বর ২০২০