ডিপার্টমেন্ট ফর ওয়ার্ক অ্যান্ড পেনশনস (ডিডব্লিউপি) জানিয়েছে, বেনিফিট প্রতারণা তদন্তে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হবে কি না, তা নির্ভর করবে নির্দিষ্ট পরিস্থিতির ওপর। তবে সংস্থাটি স্পষ্ট করেছে যে, প্রতিবেশীদের কখনও সন্দেহভাজনের ভিডিও নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হবে না।
একটি ফ্রিডম অব ইনফরমেশন (এফওআই) আবেদনের জবাবে ডিডব্লিউপি জানায়, তদন্তে সাধারণত প্রতিবেশীদের সম্পৃক্ত করা হয় না। তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে তারা সাক্ষ্য দিতে পারে। আইন অনুযায়ী, তদন্তকারীদের সব ধরনের সম্ভাব্য প্রমাণ সংগ্রহ করতে হয়— যা সন্দেহভাজনের পক্ষে কিংবা বিপক্ষে যেতে পারে।
ডিডব্লিউপি বলছে, যেকোনো অপরাধ তদন্তের মূল লক্ষ্য হলো প্রমাণ সংগ্রহ করে নিশ্চিত হওয়া যে রাষ্ট্র বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কোনো প্রতারণা হয়েছে কি না এবং হলে কে দায়ী। তবে প্রতিবেশীদের দিয়ে গোপন ভিডিও নজরদারি চালানোর অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। তারা কেবল নিজেদের নজরদারি দল ব্যবহার করে এবং তা কঠোরভাবে Regulation of Investigatory Powers Act 2000-এর অধীনে পরিচালিত হয়।
২০২৪ সালের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে বেনিফিট প্রতারণাজনিত অতিরিক্ত অর্থপ্রদান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৭ বিলিয়ন পাউন্ডে, যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এ ধরনের প্রতারণার মধ্যে রয়েছে চাকরি থাকা সত্ত্বেও বেকার ভাতা দাবি করা, একা থাকার ভান করা, কিংবা উত্তরাধিকার বা ঠিকানা পরিবর্তনের মতো পরিস্থিতি গোপন করা।
চলতি অর্থবছরে ডিডব্লিউপি ছয় ধরনের বেনিফিট দাবি যাচাই করবে। তদন্তকারীরা সাক্ষাৎকার, নথি যাচাই ও সরাসরি নজরদারির মতো ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারেন। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, তাদের আরও বিস্তৃত ক্ষমতা দেওয়া হবে— যার মধ্যে থাকবে তল্লাশি চালানো, প্রমাণ জব্দ এবং গ্রেপ্তার করার ক্ষমতাও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিবছর প্রায় ১,৪০,০০০ ভুয়া অভিযোগ করা হয়। এসব ক্ষেত্রে অনেক তদন্ত নির্দোষ প্রমাণিত হয়। ডিডব্লিউপি জানিয়েছে, যথেষ্ট প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করা হয় না। তাই ভুয়া অভিযোগ করলে অভিযোগকারীও আইনগত পরিণতির মুখে পড়তে পারে।
সূত্রঃ দ্য মিরর
এম.কে
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫