বানরে শনাক্ত হওয়া ‘মাংকিপক্স’ এ আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হারে বাড়ছে যুক্তরাজ্যে। পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায় দেখা দেয়া এই রোগ ইতোমধ্যে ইউরোপের কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এজন্য জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
ইউরোপে প্রথম মাংকিপক্স রোগী শনাক্ত হয় ৭ মে। ওইদিন নাইজেরিয়া থেকে ইংল্যান্ড ফেরত এক ব্যক্তির শরীরে প্রাণীবাহিত এই রোগ প্রথম শনাক্ত হয়।
এখন নতুন করে যুক্তরাজ্য, স্পেন, পর্তুগাল, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়াতে মাংকিপক্স রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এতে চরম উদ্বেগ দেখা দিয়েছে দেশগুলোতে। ব্রিটেনে প্রায় ২০ জন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে এখন পর্যন্ত।
শুক্রবার, ২০ মে জার্মান সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল সার্ভিস দেশটিতে মাংকিপক্সে আক্রান্ত প্রথম ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য, স্পেন ও পর্তুগালে মাংকিপক্স রোগী শনাক্ত হওয়ার ফলে ইউরোপে এখন পর্যন্ত এটিই এই রোগের বৃহত্তম প্রাদুর্ভাব।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, মাংকিপক্স একটি ভাইরাসজনিত মৃদু রোগ। এটি প্রাণীবাহিত। এর উপসর্গের মধ্যে রয়েছে জ্বর ও ফুসকুড়ি। ১৯৭০ সাল থেকে আফ্রিকার ১১টি দেশে মাংকিপক্সে রোগী শনাক্ত হলেও ২০১৭ সালের পর এই রোগের সবচেয়ে বড় প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে নাইজেরিয়ায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪৭ সন্দেহভাজন রোগী রয়েছেন। এদের মধ্যে ১৫ আক্রান্ত বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আরও জানিয়েছে, মাংকিপক্সের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনও টিকা নেই। তবে স্মলপক্সের টিকা মাংকিপক্সের বিরুদ্ধে ৮৫ শতাংশ কার্যকর বলে পরিসংখ্যানে দেখা গেছে।
২২ মে ২০২২
এনএইচ