যুক্তরাজ্যে মে মাসে মুদ্রাস্ফীতি কমে ৩.৪ শতাংশে নেমে এসেছে, যা এপ্রিলে ছিল ৩.৫ শতাংশ। পেট্রল ও বিমান ভাড়ার দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমায় এই পতন সম্ভব হয়েছে।
অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস (ONS) জানায়, মূল ভোক্তা মূল্যসূচক (CPI) হ্রাস পেলেও খাবার ও আসবাবপত্রের দাম বেড়ে এ হ্রাসের প্রভাব আংশিকভাবে ভারসাম্যহীন করেছে।
মূল মুদ্রাস্ফীতি, যেটি খাদ্য, জ্বালানি ও অ্যালকোহলের মতো অস্থির পণ্য বাদ দিয়ে হিসাব করা হয়, তা ৩.৫ শতাংশে নেমেছে; এপ্রিলে যা ছিল ৩.৮ শতাংশ।
বিমান ভাড়ায় নাটকীয় পরিবর্তন হয়েছে। এপ্রিল মাসে ভাড়া ১৬.২ শতাংশ বেড়েছিল, যা মে মাসে নেমে আসে মাইনাস ৩.৯ শতাংশে। ইস্টার ছুটির কারণে এই পার্থক্য তৈরি হয়েছে বলে জানানো হয়।
পরিষেবা খাতে মুদ্রাস্ফীতি ৫.৪ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৪.৭ শতাংশ, যা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের জন্য সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত হতে পারে।
অর্থনীতিতে ধীরগতির ইঙ্গিত রয়েছে। মজুরি বৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছে, বেকারত্ব বেড়েছে এবং এপ্রিল মাসে অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
চ্যান্সেলর র্যাচেল রিভস বলেন, “দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আরও কাজ বাকি আছে।” তিনি সুদের হার দ্রুত কমানোর পক্ষে, যাতে মাসিক মর্টগেজ ও ঋণের খরচ কমে আসে।
খাবারের মূল্যবৃদ্ধি মে মাসে বেড়ে ৪.৪ শতাংশ হয়েছে, যা ফেব্রুয়ারি ২০২৪-এর পর সর্বোচ্চ। আসবাবপত্রের দামও বেড়েছে, যদিও পোশাক ও জুতার দাম ০.৩ শতাংশ কমেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স বৃদ্ধির প্রভাব অনেক ব্যবসা খাদ্যদ্রব্যে পাস অন করছে, যা মুদ্রাস্ফীতি পুনরায় বাড়ার ঝুঁকি তৈরি করছে।
ছায়া চ্যান্সেলর মেল স্ট্রাইড লেবার সরকারকে দায়ী করে বলেছেন, “চাকুরির উপর কর বসিয়ে ও ঋণ বাড়িয়ে লেবার সরকার মূল্যস্ফীতি বাড়াচ্ছে, যা প্রতিদিনের পণ্যের দামও বাড়িয়ে দিচ্ছে।”
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
১৮ জুন ২০২৫