TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

‘যুক্তরাজ্য সরকারের কাজই করছিলাম”—অভিবাসী পাচারকারী চক্রের দাবি

যুক্তরাজ্য থেকে ফ্রান্সে অভিবাসী পাচারের দায়ে একটি লন্ডনভিত্তিক অপরাধী চক্রের ১২ সদস্যকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। চক্রটির প্রধান, আলজেরিয়ান নাগরিক ৪১ বছর বয়সী আজিজ বেনানিবা, আইলসওয়ার্থ ক্রাউন কোর্টে ১২ বছর ১১ মাসের কারাদণ্ড পেয়েছেন। এ চক্রটি অভিবাসীদের নিরাপত্তা ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেলারে ভরে পাচার করছিল ফ্রান্সে, এবং প্রতিজনের কাছ থেকে নিচ্ছিল £১,২০০ পাউন্ড পর্যন্ত।

ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (NCA)-এর তদন্তে উঠে এসেছে ভয়াবহ তথ্য। এক পাচার হওয়া ব্যক্তির মোবাইল ভিডিওতে দেখা যায়—একটি ট্রেলারের মধ্যে তালাবদ্ধ অবস্থায় আতঙ্কিত অভিবাসীরা বাঁচার জন্য চিৎকার করছে। এনসিএ জানায়, চক্রটি উত্তর আফ্রিকার অভিবাসীদের যুক্তরাজ্যে পর্যটন ভিসায় এনে লরির মাধ্যমে ফের ফ্রান্সে পাচার করতো।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রেবেকা অস্টিন আদালতে বলেন, আসামিরা দাবি করেছে তারা ব্রিটেন থেকে অভিবাসীদের সরিয়ে দিয়ে যেন সরকারের দায়িত্ব পালন করছিল। কিন্তু আদালতের মতে, এটি ছিল পরিকল্পিত ও দীর্ঘ মেয়াদি মানবপাচার ষড়যন্ত্র, যার মধ্যে অন্তত ২০টি পাচারের ঘটনা ঘটেছে আট মাসে।

বিচারক জাইলস কার্টিস-র‌্যালি একে ‘চরম মাত্রার অপরাধ’ বলে উল্লেখ করে বলেন, “এটি ছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি সদস্য রাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসন সহায়তার গুরুতর ষড়যন্ত্র।” তিনি আরও বলেন, অভিবাসীদের প্রাণ হানির ঝুঁকির মধ্যেও ফেলে দেওয়া হয়েছিল শুধু মুনাফার জন্য।

এনসিএ’র জ্যেষ্ঠ তদন্ত কর্মকর্তা জন টার্নার বলেন, এই পাচারকারীরা মানুষকে পণ্য হিসেবে দেখেছে, তাদের নিরাপত্তা ছিল গৌণ বিষয়। তিনি জানান, শতাধিক অভিবাসীকে এই তদন্তের মাধ্যমে বিপদ থেকে রক্ষা করা হয়েছে এবং ১২ জন অপরাধীর সাজা নিশ্চিত করা হয়েছে।

টার্নার আরও জানান, মানবপাচার রোধে এনসিএ আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে একত্রে কাজ করছে এবং এমন নেটওয়ার্ক যেখানেই থাকুক, তা ধ্বংস করাই তাদের অগ্রাধিকার।

সূত্রঃ দ্য এক্সপ্রেস

এম.কে
২০ জুলাই ২০২৫

আরো পড়ুন

কনজারভেটিভ পার্টিতে ইসলামোফোবিয়া সমর্থনের অভিযোগ

ব্রিটেন ভ্রমণে ‘ট্রাফিক লাইট’ পদ্ধতি বাতিল হচ্ছে অক্টোবরে

অনলাইন ডেস্ক

১০ পাউন্ডের ফি চালু করে ৯০ হাজার যাত্রী হারিয়েছে হিথরো