11.1 C
London
November 5, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)শীর্ষ খবর

রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করলে পূর্ব ইউরোপে সৈন্য পাঠাবে যুক্তরাজ্য: বরিস জনসন

রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করলে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোকে রক্ষা করতে যুক্তরাজ্য সেনা পাঠাবে বলে সাংসদদের জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে বুধবার (২৬ জানুয়ারি) ক্রেমলিনকে তিরস্কার করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা করেন ইউরোপে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার সেনাকে সতর্কতায় রাখা হয়েছে।

 

সীমান্তে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলা চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বজুড়ে। ওয়াশিংটনের ভাষ্যমতে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ক্রিমিয়াসহ ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে এক লাখের বেশি সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে রাশিয়া।

 

এটা কিয়েভ ও পশ্চিমাদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি করেছে যে ক্রেমলিন তার প্রতিবেশীর সঙ্গে নতুন একটি যুদ্ধ শুরু করতে পারে, যারা মস্কোর রাজনৈতিক বলয় থেকে বেরিয়ে যেতে চেয়েছিল।

 

বিবৃতিতে বরিস জনসন বলেছেন: “রাশিয়া যদি ইউক্রেন আক্রমণ করে, ইউরোপে আমাদের মিত্রদের সুরক্ষার জন্য ন্যাটোর নতুন মোতায়েনে করতে অবদান রাখতে চাই আমরা।”

 

তিনি যোগ করেছেন: “বড় এবং শক্তিশালী দেশগুলোর সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য দাবিগুলোকে যুক্তিসঙ্গত বানাতে নৃশংস শক্তির হুমকি ব্যবহার নতুন নয়।”

 

এদিকে সিএনএন-এর খবরে বলা হয়, ইউরোপীয় কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য প্রাক-আক্রমণ মোতায়েন হিসেবে সেনা মোতায়েন করতে চাইছে। তবে ন্যাটোর সব ৩০ সদস্য রাষ্ট্র এই বিষয়ে একমত হতে পারেনি।

 

ন্যাটো মিত্ররা রাশিয়ার আক্রমণের হুমকির বিষয়ে এক অবস্থানে নেই। যেমন- জার্মানি ইউক্রেনকে নতুন অস্ত্র দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তাই যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বা জোটের ইচ্ছায় অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর বিষয়টি আলোচনা করছে বলে জানিয়েছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা।

 

তবে রাশিয়া বলছে, অভিযান চালানোর পরিকল্পনা তাদের নেই। মস্কোর ভাষ্য, তারা চাইলে নিজেদের সীমান্তের যেকোনো জায়গায় সেনা সমাবেশ ঘটাতে পারে এবং তাদের সব পদক্ষেপই আত্মরক্ষামূলক। এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ দেশটির কর্মকর্তারা ন্যাটোকে পূর্ব দিকে সামরিক উপস্থিতি না বাড়ানোর জন্য সতর্ক করছিলেন।

 

রাশিয়ান ও ইউক্রেনিয়ানদের মধ্যে ভাষাগত ও ঐতিহাসিক ভিন্নতা ছিল। রাজনৈতিকভাবেও তারা আলাদা ছিল। তবে ভ্লাদিমির পুতিনের দাবি, রাশিয়ান ও ইউক্রেনিয়ানরা ‘একই জনগোষ্ঠী’ এবং উভয়ই রাশিয়ান সভ্যতার অংশ। আরেক প্রতিবেশী দেশ বেলারুশকেও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেন তিনি। রুশ প্রেসিডেন্টের এ দাবি নাকচ করে আসছেন ইউক্রেনিয়ানরা।

 

রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট এখন ইউরোপের সবচেয়ে বড় সংঘাতে রূপ নিতে চলেছে। এ যুদ্ধে ইতিমধ্যে ১৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

 

২৬ জানুয়ারি ২০২২
এনএইচ

আরো পড়ুন

ইউক্রেনের শরণার্থীদের জাতীয়তা বিবেচনা করবে না জার্মানি

দক্ষিণ আমেরিকার জঙ্গল দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মানবপাচার করছে বাংলাদেশি চক্র

যুক্তরাজ্যে ফিরে আসছে ৭০-এর অর্থনৈতিক অস্থিরতা