যুক্তরাজ্যের সাথে চুক্তি সাক্ষর হবার পরও রুয়ান্ডানীতি নিয়ে নানা আলোচনা চলে আসছে দীর্ঘ দিন হতে। এইবার রুয়ান্ডা সরকার নিজেই স্বীকার করে নিলো যে ঋষি সুনাকের সাথে নির্বাসন প্রকল্পের আওতায় যুক্তরাজ্য থেকে কত লোক তারা নিবে তার গ্যারান্টি দিতে পারছে না।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের বরাতে জানা যায় পূর্ব আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডা কখনও এই আশ্বাস দেয়নি যে তারা যুক্তরাজ্য হতে আনুমানিক ৫২,০০০ আশ্রয়প্রার্থী নিবে বরং কিগালি সবসময় বলে এসেছিল তারা হাজার খানেক লোককে নির্বাসনের জন্য গ্রহণ করতে পারে।
রুয়ান্ডা সরকারের মুখপাত্র ইওলান্দে মাকোলো বিবিসির সাথে আলাপকালে জানিয়েছিলেন যে রুয়ান্ডা ২০০ জন অভিবাসীকে গ্রহণ করতে যাচ্ছে।
মাকোলো জানান, ” আমরা এই অংশীদারিত্ব আজীবনের জন্য মনে করছি না বরং কত অভিবাসী রুয়ান্ডাতে নেয়া যাবে তা অনেকগুলি কারণের উপর নির্ভর করবে। হোপ হোস্টেল আপাতত ২০০ জন অভিবাসী গ্রহণ করতে সক্ষম।
লেবার পার্টির লিডার কেয়ার স্টারমার বলেছেন পরবর্তী নির্বাচন জিতলে লেবার পার্টি রুয়ান্ডা স্কিমটি রাখবে না। এর পরিবর্তে, যারা অভিবাসীদের পারাপারে সহযোগিতা করে তাদের ধরতে আলাদা অর্থ ব্যয় করবে।
রুয়ান্ডা স্কিমটি ইংলিশ চ্যানেল দিয়ে ছোট নৌকার মাধ্যমে অনিয়মিত রুটে যুক্তরাজ্যে আগত আশ্রয় প্রার্থীকে পূর্ব আফ্রিকার দেশে পাঠানোর জন্য দুই দেশের মধ্যে চুক্তি।
তথ্যমতে জানা যায়, রুয়ান্ডায় প্রেরিত লোকদের আশ্রয় প্রদান সহ তাদের মৌলিক অধিকার পূরণ করা হবে। তাছাড়া তারা শরনার্থী হিসাবে কিগালীর কাছে আবেদন করতে পারবে এবং যদি সফল হয় তবে রুয়ান্ডাতে শরণার্থী মর্যাদা মঞ্জুর করা হবে। যদি ব্যর্থ হয় তবে তারা অন্য একটি “নিরাপদ তৃতীয় দেশে” আশ্রয় চাইতে পারে বা অন্য ভিত্তিতে রুয়ান্ডায় বসতি স্থাপনের জন্য আবেদন করতে পারে।
উল্লেখ্য যে, এই বিতর্কিত পাঁচ বছরের রুয়ান্ডা চুক্তিটি প্রাথমিকভাবে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিব, প্রীতি প্যাটেলের অধীনে ২০২২ সালে ক্রমবর্ধমান সংখ্যক শরনার্থী মোকাবেলায় চালু করা হয়েছিল। তবে তা বেশ কয়েকটি আইনী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়, যা শরনার্থীদের কিগালিতে যাত্রা থেকে বিরত রেখেছে।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
০৬ মে ২০২৪