18.8 C
London
May 23, 2025
TV3 BANGLA
বাংলাদেশযুক্তরাজ্য (UK)

লন্ডনে সালমানপুত্র সায়ানের সম্পত্তি জব্দ করছে ব্রিটেনের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি

চলতি বছরের জানুয়ারিতে রাজা চার্লসের প্রতিষ্ঠিত একটি দাতব্য সংস্থার উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে সংস্থায় আড়াই লাখ পাউন্ড অনুদান দিয়ে আলোচনায় আসেন সালমান এফ রহমানের ছেলে সায়ান এফ রহমান। এবার ব্রিটেনের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) সালমানপুত্রের মালিকানাধীন লন্ডনের দুটি সম্পত্তি জব্দ করার আদেশ দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমস এ তথ্য জানায়।

সম্পত্তির নথি অনুযায়ী, লন্ডনের দুটি সম্পত্তির মালিক সায়ান এফ রহমান। নথিপত্রে দেখা গেছে, এর মধ্যে একটি সম্পত্তি হলো লন্ডনের ১৭ গ্রোসভেনর স্কয়ারে অবস্থিত একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট, যা ২০১০ সালে ৬.৫ মিলিয়ন পাউন্ডে কেনা হয়েছিল। অন্যটি উত্তর লন্ডনের গ্রেশাম গার্ডেন্সে অবস্থিত, যা পরের বছর ১.২ মিলিয়ন পাউন্ডে কেনা হয়েছিল।

ব্রিটিশ নির্বাচনী রেকর্ড অনুসারে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা এবং যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মিনিস্টার লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের মা একসময় গ্রেশাম গার্ডেন্সের এই সম্পত্তিতে বসবাস করতেন। তবে, তিনি এখনও সেখানে থাকেন কিনা তা স্পষ্ট নয়।

এনসিএ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে, এনসিএ একটি চলমান সিভিল তদন্তের অংশ হিসেবে লন্ডনের ১৭ গ্রোসভেনর স্কয়ার এবং গ্রেশাম গার্ডেন্সের সম্পত্তি জব্দ করার আদেশ পেয়েছে। আমরা এই মুহূর্তে আর কোনো মন্তব্য করতে পারবো না।’

মূলত, এনসিএ সালমানপুত্রের দুটি সম্পত্তি ফ্রিজ করার আদেশ পেয়েছে। ফ্রিজিং অর্ডার হলো এমন একটি আদেশ যা কোনো সম্পত্তি বিক্রি বা স্থানান্তর করা থেকে বিরত রাখে।

এর আগে, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সানডে টাইমসের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সায়ান রহমান একটি অফশোর ট্রাস্টে অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে উত্তর লন্ডনের গোল্ডার্স গ্রিন এলাকায় ১২ লাখ পাউন্ড দিয়ে একটি বাড়ি কিনেছিলেন। সেই বাড়িতে থাকতেন টিউলিপের মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা। এছাড়াও লন্ডনের গ্রসভেনর স্কয়ারে সায়ান রহমানের একাধিক সম্পত্তি রয়েছে যার মোট দাম ৪ কোটি ২০ লাখ পাউন্ড।

২০০৭ সালে ‘ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্ট’ নামের দাতব্য সংস্থা গড়ে তুলেছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ রাজপুত্র তৃতীয় চার্লস। ঠিক ১১ বছর পর, ২০১৮ সালে, বাংলাদেশে এই ট্রাস্টের কার্যক্রম শুরু করতে সাহায্যের হাত বাড়ান নৌকার কান্ডারি সালমানের পুত্র সায়ান। তিনি এই সংস্থার একটি উপদেষ্টা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান।

২০১৮ সালে, লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসে এক নৈশভোজে সবার সামনে সায়ান রহমানের প্রশংসা করেছিলেন চার্লস। বলেছিলেন, ‘আমি শুধু এটুকুই বলতে পারি যে সায়ান রহমান যে সহায়তা দিচ্ছেন, তার জন্য আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে সালমান এফ রহমানের পাশাপাশি সায়ান এফ রহমান ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ থেকে আট কোটি ডলারের বেশি অর্থ বিদেশে পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।

সূত্রঃ ফিনান্সিয়াল টাইমস

এম.কে
২৩ মে ২০২৫

আরো পড়ুন

ড. ইউনূসের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারেঃ দুদক পিপি

চাকরিতে যোগ দিলেই দুই হাজার পাউন্ড পর্যন্ত বোনাস!

অনলাইন ডেস্ক

ড. ইউনূসের সঙ্গে ইলন মাস্কের ফোনালাপ, পাশেই ছিলেন ট্রাম্প