5.9 C
London
November 22, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসলে বিবেচনা করবে ইমিগ্রেশন আইন নিয়েঃ সাদিক খান

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচন আসন্ন, এই সাধারণ নির্বাচন জিতলে নতুন বিদেশী কর্মীদের জন্য ভিসা বিধি পর্যালোচনা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে লেবার পার্টি।

মঙ্গলবার লেবার পার্টি নিশ্চিত করেছে, যুক্তরাজ্যে ডিপেন্ডেন্ট আনতে নূন্যতম মজুরির ব্যাপারে ইমিগ্রেশন আইন নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করবে তাদের সরকার।

কেয়ার কর্মীদের পরিবারকে ব্রিটেনে আনতে নিষেধাজ্ঞা
১১ই মার্চ হতে কার্যকর হয়েছিল, অন্যদিকে বিদেশ থেকে স্পাউসদের আনতে ন্যূনতম মজুরি এপ্রিল মাস থেকে বাড়তে শুরু করবে বলে সরকার ঘোষণা করেছে।

সরকার ইমিগ্রেশন আইনের বিষয়ে কঠোরতা প্রদর্শন করার পিছনে যুক্তি হিসাবে রেকর্ড পরিমাণ মাইগ্রেশন স্তর হ্রাস করাকে প্রাধান্য দিয়েছে বলে জানায়।

তবে লেবার পার্টি ইমিগ্রেশন আইনের কঠোরতা নিয়ে বলে, এই নিয়মগুলি পরিবারগুলির উপর চাপ সৃষ্টি করবে এবং দেশকে কেয়ার ওয়ার্কার ঘাটতির দিকে পরিচালিত করবে। স্বাস্থ্যসেবা খাতে ইউকে বহু মানুষের ঘাটতি রয়েছে, প্রায় ৩৫,০০০ জন নার্সের ঘাটতি এখনও বিদ্যমান এনএইচএসে।

সোমবার লেবার পার্টির ছায়া মন্ত্রী ক্রিস ব্রায়ান্ট বলেছেন, লেবার পার্টি স্টুডেন্টদের ডিপেন্ডেন্ট আনার বিষয়ে বর্তমান সরকারের নেয়া ব্যবস্থার সাথে সম্পূর্ণ একমত হওয়া উচিত। তবে স্থায়ী বাসিন্দাদের ডিপেন্ডেন্ট আনতে ও কেয়ার ওয়ার্কার নিয়ে আইন পর্যালোচনাও করা উচিত বলে মনে করি।

তিনি বিবিসিকে বলেন, ” এটা সম্পূর্ণ আমার নিজস্ব মতামত, আমি জানি না লেবার পার্টির অবস্থান কি হবে এই বিষয়ে।”

শ্যাডো হোম সেক্রেটারি ইয়ভেট কুপারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, লেবার পার্টি সবসময় ভেবেচিন্তে কোনো পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। হঠাৎ করে যে কোন সিদ্ধান্ত হিতে বিপরীত হতে পারে যা কনজারভেটিভ দল গত কয়েক বছর হতেই করে আসছে। কনজারভেটিভ দলের খামখেয়ালিপনায় দেশে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। সামনে জাতীয় নির্বাচনে তাই জনসাধারণ বুঝেশুনে তাদের সিদ্ধান্ত প্রদান করা উচিত।

সাদিক খান প্রবীণ লেবার দলীয় রাজনীতিবিদ সরকারের নতুন ভিসা বিধিগুলির সমালোচনা করেছেন।

তিনি বলেন, “ হাজার হাজার বিদেশী শ্রমিক এবং তাদের পরিবারকে ধ্বংস করে দিয়েছে কঠোর অভিবাসন আইন। সরকার অবাধে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে কেয়ার ওয়ার্কারদের প্রথমে প্রবেশ করিয়েছে। এরপর হঠাৎ করেই তাদের উপর খড়গ নামিয়ে এনেছে। এতে বিপর্যয়ের মুখে পড়বে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যখাত।

উল্লেখ্য যে, স্কিলড ওয়ার্কার ভিসায় আগতদের জন্য প্রয়োজনীয় বেতন ২৬,২০০ পাউন্ড থেকে ৩৮,৭০০ পাউন্ডে উন্নিত হবে ৪ এপ্রিল থেকে। পারিবারিক ভিসায় যুক্তরাজ্যে ডিপেন্ডেন্টদের আনতে ন্যূনতম আয়ের প্রান্তিকতা ১১ ই এপ্রিল থেকে বৃদ্ধি পাবে। ১১ এপ্রিল থেকে পরিবারের সদস্যকে যুক্তরাজ্যে আনতে শ্রমিকদের এক বছরে কমপক্ষে ২৯,০০০ পাউন্ড উপার্জন করতে হবে।

সূত্রঃ দ্য স্ট্যান্ডার্ড

এম.কে
২৭ মার্চ ২০২৪

আরো পড়ুন

বিবিসির জন্য এটিই শেষ লাইসেন্স ফি

ব্রিটেনে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় সোমবার হতে যেসব পরিবর্তন আসছে

দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডে ভারী বর্ষণের সতর্কতা

অনলাইন ডেস্ক