ঘানার ৭৪ বছর বয়সী নেলসন শারদে, প্রায় ৫০ বছর ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। নিজেকে সবসময় ব্রিটিশ ভেবে আসলেও ২০১৯ সালে এসে জানতে পারেন তিনি ব্রিটিশ নাগরিক নন।
হোম অফিস থেকে তাকে জানানো হয়েছে, যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পেতে হলে তাকে আরও ১০ বছর অপেক্ষা করতে হবে।
এতদিন ধরে সকল নাগরিক কর প্রদান করে আসলেও, এখন তাকে যুক্তরাজ্যে বসবাস চালিয়ে যেতে এবং জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা (এনএইচএস) ব্যবহার করতে বড় অঙ্কের অর্থ প্রদান করতে হবে।অবশেষে যুক্তরাজ্যের হোম অফিস তাদের সিদ্ধান্তের পরিবর্তন করেছে। হোম অফিস নেলসন শারদের যুক্তরাজ্যে বসবাস করার অধিকার মঞ্জুর করেছে।
অবসরপ্রাপ্ত নিউজ এজেন্ট শারদে হোম অফিসের সাথে আইনী লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য ৫০ হাজার পাউন্ডে তহবিল সংগ্রহ করেছিলেন বলেও তথ্যমতে জানা যায়। তবে আদালতে আইনী লড়াইয়ে যাওয়ার আগেই শারদের আবেদন মঞ্জুর করে নেয় হোম অফিস।
শারডে জানান, ” আমি অসম্ভব শান্তি অনুভব করছি হোম অফিসের এই সিদ্ধান্তে। এখন স্বাধীনভাবে আমি চলাফেরা করতে পারবো। আমি প্রার্থনা করছি আমার মতো অনুরূপ পরিস্থিতিতে যেন কেউ না পড়ে। ন্যায্যতা এবং ন্যায়বিচার বলেও কিছু আছে সেই বিশ্বাস মানুষ হারিয়ে ফেলবে যদি এমন কিছু ঘটে কারো জীবনে।”
শারদের পুত্র অ্যারন এবং জ্যাকব তাদের বাবার বিষয়ে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, আমাদের বাবার আইনী অবস্থান সম্পর্কে সন্দেহ করার কোনো অবকাশ নেই। তিনি যুক্তরাজ্যে মর্টগেজ পেয়েছেন, সরকারকে কর প্রদান করেছেন, জুরি পরিষেবা সম্পন্ন করেছেন এমন কি যুক্তরাজ্যে বিয়ে করতেও সক্ষম হয়েছিলেন।
গ্রেটার ম্যানচেস্টার ইমিগ্রেশন এইড ইউনিটের শারদের আইনজীবী নিকোলা বার্গেস বলেন, তিনি “শিহরিত” শারদেকে আই,এল,আর প্রদানের সিদ্ধান্ত হোম অফিস নেওয়াতে। যদিও এটি কোনো সহজ প্রক্রিয়া ছিল না”।
হোম অফিসের এক মুখপাত্র বলেছেন, “ আমরা মিঃ শারদের আই,এল,আর কেইস সম্পন্ন করার জন্য তার আবেদন প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছি। নেলসন শারদের সকল ধরনের অসুবিধা ও সঙ্কটের জন্য ক্ষমা চাইছি। ”
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
১৫ জুলাই ২০২৪