ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়,যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে তার ব্যক্তিগত বিমানে ভ্রমণের জন্যে ৫ লাখ পাউন্ড খরচ করেছেন যা বাংলাদেশী মুদ্রায় ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা প্রায়।
বিদেশ ভ্রমণে প্রধানমন্ত্রীর ব্যয়ের সরকারি তথ্য উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
এদিকে ব্রিটেনের বিরোধী দলীয় সাংসদরা বিষয়টি নিয়ে নিন্দা জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ঋষির প্রতিশ্রুতির সঙ্গে তার এ ভ্রমণ সংক্রান্ত ব্যয় সাংঘর্ষিক।
জানুয়ারিতে লিডসে একটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র পরিদর্শন করার জন্য লন্ডন থেকে মাত্র ৩০ মিনিটের দূরত্বের ভ্রমণে প্রাইভেট জেট ব্যবহার করার পর বিষয়টি সামনে আসে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানায়, মন্ত্রিপরিষদ কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, ২০২২ সালের নভেম্বরে কপ-টুয়েন্টি সেভেন শীর্ষ সম্মেলনের জন্য ঋষি সুনাকের একদিনের মিশর সফরে ব্যক্তিগত জেট ভ্রমণের জন্য খরচ হয়েছিল এক লাখের বেশি ইউরো।
এক সপ্তাহ পরে, ১৩ নভেম্বর, তিনি ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-টুয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনে যান এবং ১৭ নভেম্বর ফিরে আসেন। এ যাতায়াতে খরচ হয় ৩ লাখ ৪০ হাজারের বেশি ইউরো। কিছুদিন পরে লাটভিয়া এবং এস্তোনিয়ায় ব্রিটিশ সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাতে দিনব্যাপী সফর করেন, একটি সফরের খরচ ছিল ৬২ হাজার ইউরোর কিছু বেশি।
ব্রিটেনের লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা এ বিমান ভ্রমণের ব্যয় নিয়ে সুনাকের সমালোচনা করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যা করেছেন তা করদাতাদের অর্থের বাজে অপচয়। যখন ব্রিটেনের মানুষ কর পরিশোধ করতে সংগ্রাম করছে, তখন এটি একেবারে উচিত হয়নি।
এদিকে ব্রিটনের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিশ্বনেতাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার জন্য সুনাকের এসব ভ্রমণ ছিল।