বিশ্বের ১৪৫টি দেশের সামরিক সক্ষমতার ভিত্তিতে তৈরি করা আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার (জিএফপি)-এর চলতি বছরের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৪০তম। সূচকে আবারও শীর্ষ সামরিক ক্ষমতাধর দেশ নির্বাচিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
জিএফপি’র ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বিশ্বের ১৪৫টি দেশের সামরিক সক্ষমতার সর্বশেষ সহজলভ্য সামরিক সরঞ্জাম, প্রতিরক্ষা বাজেট, সৈন্য সংখ্যাসহ বিভিন্ন ধরনের ৬০টির বেশি মাপকাঠির ওপর ভিত্তি করে চলতি বছরের সূচক তৈরি করা হয়েছে।
এদিকে, জিএফপির চলতি বছরের সূচকে দেশগুলোর শক্তি বৃদ্ধির প্রবণতার উপর ভিত্তি করে ‘পাওয়ারস অন দ্য রাইজ’ তালিকায় ১২তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। জিএফপির ২০২৩ সালের বার্ষিক প্রতিরক্ষা পর্যালোচনায় ‘পাওয়ারস অন দ্য রাইজ’ হিসেবে ৫৩টি দেশকে বেছে নেওয়া হয়।
‘২০২৩ মিলিটারি স্ট্রেন্থ র্যাংকিং’ নামে প্রকাশিত এই সূচকে সামরিক শক্তিমত্তা বিচারে দেশগুলোর স্কোরও নির্ধারণ করা হয়েছে। সামরিক শক্তিসূচকে বাংলাদেশের স্কোর শূন্য দশমিক ৫৮৭১।
এদিকে, গত বছরের ন্যায় এই সূচকে শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধের পটভূমিতে ১৪৫টি দেশের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর তালিকায় ১৫তম স্থানে রয়েছে ইউক্রেন।
অন্যদিকে, জিএফপির সূচকে দ্বিতীয় সামরিক ক্ষমতাধর দেশ নির্বাচিত হয়েছে রাশিয়া। দেশটির স্কোর শূন্য দশমিক ০৭১৪। আর সামরিক শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশের এই সূচকে চীন রয়েছে তৃতীয় স্থানে। চীনের স্কোর শূন্য দশমিক ০৭২২। তালিকায় চতুর্থ স্থানে আছে ভারত; দেশটির স্কোর শূন্য দশমিক ১০২৫। পাকিস্তান রয়েছে ৭ম স্থানে; স্কোর শূন্য দশমিক ১৬৯৪। আর মিয়ানমার রয়েছে ৩৮তম স্থানে। দেশটির স্কোর শূন্য দশমিক ৫৭৬৮।
জিএফপির এই সূচকে ইরান ১৭তম, ইসরায়েল ১৮তম, ভিয়েতনাম ১৯তম, সৌদি আরব ২২তম, তাইওয়ান ২৩, থাইল্যান্ড ২৪তম ও উত্তর কোরিয়া ৩৪তম সামরিক ক্ষমতাধর দেশের অবস্থানে রয়েছে। তালিকার একেবারে তলানিতে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভুটান। ১৪৫তম অবস্থানে থাকা দেশটির স্কোর ৬ দশমিক ২০১৭।
সূত্র : জিএফপি