সম্প্রতি সুলতান’স ডাইনের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিড়ালের মাংস দিয়ে কাচ্চি বানানোর অভিযোগ তুলে ভিডিও ভাইরাল হয়। এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই করতে সুলতান’স ডাইনের গুলশান শাখায় অভিযান পরিচালনা করে নিরাপদ খাদ্য এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায় মাংসের হাড় চিকন আকৃতির ছিল। খাসির হাড় চিকন হয় কিনা এবং সুলতান’স ডাইন কর্তৃপক্ষ কার কাছ থেকে মাংস সরবরাহ করে এসব বিষয়ে তদারকি করতে সে মাংস সরবরাহকারীকে ফোন করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান ও সহকারী পরিচালক মো. আবদুল জব্বার মণ্ডল।
ফোনালাপে মাংস সরবরাহকারী জানান, সুলতান’স ডাইনকে (৯ মার্চ) ১২৫ কেজি খাসির মাংস বাকিতে সরবরাহ করেছে। মাংস প্রসেসিংয়ের সময় সুলতান’স ডাইনের কেউ না থাকলেও সরবরাহের সময় তাদের একজন প্রতিনিধি ছিল।
তবে ৯ মার্চ কাগজে কলমে সুলতান’স ডাইন কর্তৃপক্ষ ১৫০ কেজি খাসির মাংস সরবরাহ করে রান্নার জন্য। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল সুলতান’স ডাইনের ম্যানেজার মো. আশরাফ আলমের কাছে জানতে চায় সরবরাহকারী ১২৫ কেজি সরবরাহ করলে বাকি ২৫ কেজি মাংস কার থেকে সংগ্রহ করেছে।
২৫ কেজি খাসির মাংসের গড়মিলের ব্যাখ্যা জানতে চাইলে সুলতান’স ডাইন কর্তৃপক্ষ কোনো ডকুমেন্ট বা রশিদ দেখাতে পারিনি। এর জবাবে ম্যানেজার বলেছেন, সুলতান’স ডাইন বাকিতে খাসির মাংস সংগ্রহ করে। যার রশিদ বা বিল সন্ধ্যায় সরবরাহকারী দিয়ে যাবে। তখন তাকে বকেয়া পরিশোধ করা হবে। আর সুলতান’স ডাইনের খাবারে কোনো প্রকার ভেজাল দেওয়া হয় না বলে দাবি করেন এ ম্যানেজার।
অভিযান শেষে ভোক্তার সহকারী পরিচালক মো. আবদুল জব্বার মণ্ডল সাংবাদিকদের বলেন, যেহেতু সুলতান’স ডাইনের কর্তৃপক্ষের বক্তব্যের সঙ্গে মাংস সরবরাহকারীর বক্তব্যে এবং কাগজপত্রের গড়মিল পেয়েছি। তারা আপাতত কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তাই তাদের আগামী সোমবার ভোক্তার অফিসে এসে এর ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। তারপর যদি কোনো ভুল ত্রুটি পাই তখন সুলতান ডাইনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।