11.4 C
London
November 12, 2024
TV3 BANGLA
Uncategorized

সোশ্যাল মিডিয়ায় লক্ষাধিক নারীর ছবি নিয়ে ভুয়া পর্ন ভিডিও

সারা বিশ্বের সামাজিকমাধ্যম থেকে এক লাখেরও বেশি নারীর ছবি সংগ্রহ করে সেগুলো দিয়ে ভুয়া নগ্ন ছবি তৈরি করা হচ্ছে এবং অনলাইনে তা শেয়ার করা হচ্ছে বলে এক রিপোর্টে জানা গেছে।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ব্যবহার করে এসব ছবি থেকে নারী দেহের পোশাক সরিয়ে ফেলা হচ্ছে এবং মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামের মাধ্যমে এসব নগ্ন ছবি ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইন্টেলিজেন্স কোম্পানি সেনসিটির তৈরি এ রিপোর্টটি আরও জানাচ্ছে, এসব বিবস্ত্র নারীর অনেকেই অল্পবয়সী। কিন্তু যারা এসব করছে তারা প্রায়ই একে শুধুমাত্র ‘বিনোদন’ হিসেবে বর্ণনা করে থাকে।

তবে এধরনের একটি সফটওয়্যার পরীক্ষা করে ফলাফল আশানুরূপ হয়নি। কিন্তু সেনসিটি দাবি করছে, ‘ডিপফেক বট’ নামে প্রযুক্তি ব্যবহার করে নারীদের নগ্ন বানানোর কাজ চলছে।

ডিপফেক হলো- কম্পিউটারে তৈরি এক ধরনের ছবি বা ভিডিও যা দেখলে ধরা যাবে না সেটি নকল। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রায়ই সেলেব্রিটিদের নিয়ে ভুয়া পর্নগ্রাফিক ভিডিও ক্লিপ তৈরি করা হয়।

তবে সেনসিটির প্রধান নির্বাহী জর্জিও পাত্রিনি বলছেন, সেলেব্রিটিদের ছেড়ে সাধারণ মানুষের ছবি ব্যবহার করে ভুয়া ভিডিও কিংবা ছবি তৈরি করার ঝোঁক এখন বাড়ছে। সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে কারো একটি ছবি থাকলেই তাকে নিয়ে এ ধরনের ছবি তৈরি করা সম্ভব।

টেলিগ্রাম ডিপফেক বট:
মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামের প্রাইভেট মেসেজিং চ্যানেলে একটি শক্তিশালী এআই বট (রোবট প্রোগ্রাম) ব্যবহার করা হয়। এর ব্যবহারকারীরা এই বটকে কোনো নারীর ছবি পাঠাতে পারে। এবং এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বটটি কয়েক মিনিটের মধ্যে ছবিতে ওই নারীর দেহ থেকে কাপড় সরিয়ে ফেলতে পারে। এর জন্য টেলিগ্রামের গ্রাহককে কোনো অর্থও দিতে হবে না।

এধরনের একটি অ্যাপ গত বছর বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন মনে করা হচ্ছে ঐ সফটওয়্যারের একটি ক্র্যাকড ভার্সন এখন আবার ব্যবহার করা হচ্ছে।

যে এই সেবাটি দিচ্ছে তার অ্যাডমিন, যিনি নাম ব্যবহার করেন শুধু ‘পি’, তিনি বলছেন, ‘এসব আমি কেয়ার করি না। এটা হচ্ছে শুধুই বিনোদন, এবং এতে কানো কোন ক্ষতি করা হচ্ছে না। এটা দিয়ে কেউ কাউকে ব্ল্যাকমেইল করতে পারবে না। কারণ এসব ছবির মান বাস্তবসম্মত না ‘

তিনি আরও জানান, তাদের টিম যে ধরনের ছবি শেয়ার করা হচ্ছে তার ওপর নজর রাখে। ‘যখন আমরা দেখতে পাই যে শিশুদের ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে তখন আমরা ব্যবহারকারীকে চিরদিনের জন্য ব্লক করে দেই।’

তিনি বলছেন, তবে কেউ যদি এসব ছবি অন্যদের সাথে ব্যবহার করতে চায় সেটা নির্ভর করছে কে ছবিটি তৈরি করেছে তার ওপর। যুদ্ধ, রোগবালাইসহ এমন অনেক কিছু আছে যা বিশ্বের জন্য ক্ষতিকর।

এই বিষয়ে টেলিগ্রামের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

সৌজন্য: বিবিসি বাংলা
২২ অক্টোবর ২০২০
এনএইচ

আরো পড়ুন

Property Mortgage with BENECO Finance 6 August 2020

৮০০ কোটি ডলার দান করে স্বেচ্ছায় দারিদ্র্যবরণ

অনলাইন ডেস্ক

এই মাছটি কত সালে কত দামে কিনেছিলেন?