6.3 C
London
December 23, 2024
TV3 BANGLA
আন্তর্জাতিকশীর্ষ খবর

হিটলারের বাড়িতে পুলিশকে দেওয়া হবে মানবাধিকার প্রশিক্ষণ

অস্ট্রিয়ার যে বাড়িটিতে অ্যাডলফ হিটলার জন্মগ্রহণ করেছিলেন সেটি পুলিশ অফিসারদের মানবাধিকার প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হবে। মূলত সাবেক এই স্বৈরশাসকের জন্মভিটাকে কি করা হবে তা নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে বিতর্কের পর অবশেষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ট্রিয়ার ব্রাউনাউ অ্যাম ইন শহরের যে বাড়িটিতে অ্যাডলফ হিটলার জন্মগ্রহণ করেছিলেন, দীর্ঘ বিরোধের পর অস্ট্রিয়ার সরকার ২০১৬ সালে সেটি কিনে নেয়। মূলত বাধ্যতামূলক ক্রয় আদেশের অধীনে জার্মান সীমান্তের কাছে অবস্থিত এই ভবনটি কিনে নেয় সরকার।

 

 

 

 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বলছে, গণহত্যাকারী কুখ্যাত জার্মান একনায়ক অ্যাডলফ হিটলার ১৮৮৯ সালে এই ভবনেরই টপ ফ্লোরের একটি ভাড়া নেওয়া ঘরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। পুলিশ অফিসারদের মানবাধিকার প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের সিদ্ধান্তের পর বাড়িটিকে রূপান্তরের জন্য নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কিন্তু এই পরিকল্পনা নিয়েও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। কিছু অস্ট্রিয়ান নাগরিক এই বাড়িটি ভেঙে ফেলতে চায় এবং বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটিও এই ভবনটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যাতে এটি নব্য-নাৎসিদের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত না হয়।

তবে সমালোচকরা বলছেন, তেমনটি করা হলে তা হবে অস্ট্রিয়ার অতীতকে অস্বীকার করা। অন্যরা বলেছেন, এটিকে পুনর্মিলনের ঘর হিসাবে বা দাতব্য সংস্থার জায়গা হিসাবে ব্যবহার করা উচিত।

 

 

 

 

 

অস্ট্রিয়ান সম্প্রচারকারী ওআরএফ’র তথ্য অনুসারে, সর্বশেষ প্রকল্পের অধীনে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ভবনের রূপান্তরের কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

একসময় এই বাড়িটি একটি দাতব্য সংস্থার অধীনে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের ডে কেয়ার সেন্টার হিসাবে ব্যবহার করা হতো। ২০১৬ সালে আট লাখ ইউরোর ক্ষতিপূরণের বিনিময়ে আগের মালিকের কাছ থেকে বাড়িটি বাজেয়াপ্ত করার অনুমতি দিয়ে একটি আইন পাস করে অষ্ট্রিয়া সরকার।

এর তিন বছর পর অস্ট্রিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১৭ শতকের এই বাড়িটিকে পুলিশ স্টেশনে পরিণত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করে।

 

এম.কে
৩০ মে ২০২৩

আরো পড়ুন

ডাউনিং স্ট্রিটে বিড়াল ল্যারির ১০ বছর

অনলাইন ডেস্ক

যুক্তরাজ্যে রাশিয়ার আক্রমণের আশঙ্কা

বিশ্বের সবচেয়ে সহিংস দেশ মিয়ানমার, বাংলাদেশ ২২তম