6.6 C
London
February 3, 2025
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

অবৈধভাবে কাজ করার জন্য সিভিল পেনাল্টি সংক্রান্ত গাইড

সরকার অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রচেষ্টা জোরদার করেছে। যার ফলে ইংল্যান্ড জুড়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কার্যক্রমের বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

যুক্তরাজ্যে সিভিল পেনাল্টি জারির সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে হোম অফিস কোনো নিয়োগকর্তাকে অবৈধভাবে কর্মী নিয়োগের জন্য দায়ী করে, তবে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।

সিভিল পেনাল্টি সংক্রান্ত গাইডে, অবৈধ শ্রমের জন্য সিভিল পেনাল্টি প্রয়োগ প্রক্রিয়া এবং নিয়োগকর্তাদের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

সিভিল পেনাল্টি কী?

যদি কোনো নিয়োগকর্তা এমন কাউকে নিয়োগ দেন যার যুক্তরাজ্যে কাজ করার আইনগত অধিকার নেই, তবে প্রতিটি অবৈধ কর্মীর জন্য নিয়োগকর্তাকে সিভিল পেনাল্টি প্রদান করা হতে পারে।

যদি প্রমাণিত হয় যে নিয়োগকর্তা জেনেশুনেই এমন কাউকে নিয়োগ দিয়েছেন, তবে ফৌজদারি মামলাও হতে পারে।

সিভিল পেনাল্টি হলো একটি আর্থিক জরিমানা যা ২০০৬ সালের ইমিগ্রেশন, আশ্রয় এবং ন্যাশনালিটি অ্যাক্ট-এর ১৫ ধারা অনুযায়ী প্রয়োগ করা হয়।

এতে বলা হয়েছে:

কোনো প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া অবৈধ, যদি:
(a) তার যুক্তরাজ্যে প্রবেশ বা অবস্থানের অনুমতি না থাকে, অথবা
(b) তার অনুমতি:

(i) অবৈধ হয়,

(ii) বাতিল হয়ে যায়, বা

(iii) কোনো শর্তের অধীন থাকে যা তাকে কাজ করার অনুমতি দেয় না।

সিভিল পেনাল্টি কীভাবে প্রয়োগ করা হয়?

অবৈধ শ্রম প্রতিরোধের কোড অব প্র্যাকটিস সিভিল পেনাল্টি প্রয়োগের প্রক্রিয়া নির্ধারণ করে।

মূল ধাপসমূহ:

অপরাধের সনাক্তকরণ (Breach):
অবৈধভাবে কাজ করা বা ভিসার শর্ত ভঙ্গ করা কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য।

রেফারেল (Referral):
নিয়োগকর্তাকে একটি নোটিশ দিয়ে হোম অফিসে রেফার করা হয়।

তথ্য চাওয়া (Information Request):
নিয়োগকর্তার কাছ থেকে অতিরিক্ত তথ্য চাওয়া হয়। ১০ দিনের মধ্যে উত্তর দিলে পেনাল্টি কমার সম্ভাবনা থাকে।

সিদ্ধান্ত (Decision):
হোম অফিস একটি নোটিশ প্রদান করে, যা হতে পারে:

সিভিল পেনাল্টি নোটিশ

সতর্কীকরণ নোটিশ

কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করার নোটিশ

জরিমানা পরিশোধ (Paying the Penalty):

নির্ধারিত তারিখের মধ্যে জরিমানা পরিশোধ করতে হবে।

দ্রুত অর্থ পরিশোধ করলে (২১ দিনের মধ্যে), ৩০% ছাড় পাওয়া যেতে পারে (শুধু প্রথমবারের জন্য)।

কিস্তিতে পরিশোধের সুবিধা থাকতে পারে (সাধারণত ২৪ মাসের মধ্যে)।

জরিমানার বিরুদ্ধে আপত্তি (Objecting to the Penalty):

আপত্তি দাখিল করতে হবে ২৮ দিনের মধ্যে।

আপত্তির ভিত্তি:

নিয়োগকর্তা দায়ী নন।

আইনগতভাবে সঠিক কাজের অনুমতি যাচাই করা হয়েছে।

জরিমানা অতিরিক্ত বা ভুলভাবে হিসাব করা হয়েছে।

আপিল (Appealing Against the Penalty):

জেলা আদালতে আপিল করা যায়।

আপিল দাখিল করতে হবে আপত্তির ফলাফলের ২৮ দিনের মধ্যে।

জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থতার ফলাফল:

আদালতে মামলা হতে পারে।

কোম্পানির ডিরেক্টর হিসেবে কাজের যোগ্যতা নষ্ট হতে পারে।

স্পনসর লাইসেন্সের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

ভবিষ্যতে ইমিগ্রেশন আবেদনেও প্রভাব ফেলতে পারে।

তিন-পর্যায়ের বিবেচনা প্রক্রিয়া:

দায় নির্ধারণ:নিয়োগকর্তা দায়ী কিনা যাচাই করা হয়।

অপরাধের মাত্রা নির্ধারণ: পূর্বের ৩ বছরের মধ্যে কোনো অপরাধ হয়েছে কিনা দেখা হয়।

জরিমানার পরিমাণ নির্ধারণ:

প্রথমবারের অপরাধ: £৪৫,০০০ প্রতি কর্মী (প্রতি মিটিগেটিং ফ্যাক্টরের জন্য £৫,০০০ ছাড়)।

পুনরাবৃত্তি অপরাধ: £৬০,০০০ প্রতি কর্মী।

মিটিগেটিং ফ্যাক্টর:

অবৈধ শ্রমিকের রিপোর্ট করা।

হোম অফিসের সাথে সক্রিয় সহযোগিতা।

সঠিকভাবে কাজের অনুমতি যাচাই করা।

গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:

নিয়োগের আগে সঠিকভাবে কাজের অনুমতি যাচাই করুন।

জরিমানা পাওয়ার ক্ষেত্রে দ্রুত আইনগত পরামর্শ নিন।

সূত্রঃ ফ্রি মুভমেন্ট

এম.কে
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আরো পড়ুন

ইসরায়লে সাইরেন শুনে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী দৌড়ে পালালেন

ব্রিটেনের নদীর মাছে কোকেন-কেটামিনের মতো মাদকের উপস্থিতি!

দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের অংশ হিসেবে এক নারীকে গ্রেপ্তার