ঋষি সুনাক ইঙ্গিত দিয়েছেন ২০১৯ সালের স্তরের নিচে নেট ইমিগ্রেশন আনার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তিনি নন।
২০১৯ সালে কনজারভেটিভ পার্টির নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছিল, ” স্বল্প দক্ষ অভিবাসী হবে তাদের লক্ষ্য এবং সামগ্রিক সংখ্যা কমিয়ে আনা মূল উদ্দেশ্য।” সেই সময় বার্ষিক নেট ইমিগ্রেশন রেট ছিল ২,২৬,০০০ এরমতো, ইশতেহারের ইঙ্গিত দেওয়া হয় বার্ষিক নেট ইমিগ্রেশন রেট ২,২৬,০০০ নীচে নিয়ে যাওয়া হবে।
বর্তমান পরিসংখ্যানে দেখা যায় ২০২২ সালে নেট ইমিগ্রেশন প্রায় ৭ লাখ ছাড়িয়েছে। জাপানে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় সুনাক জোর দিয়েছিলেন যে তিনি এখনও নেট মাইগ্রেশনের স্তরটি নামিয়ে আনতে চান, তবে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি ২,২৬,০০০ টার্গেটের নিচে ইমিগ্রেশন রেট নামিয়ে আনার জন্য দায়বদ্ধ নন।
২০১৯ এর প্রতিশ্রুতি নিয়ে কাজ করছেন কিনা জানতে চাইলে ঋষি বলেন, আমি কিছু নম্বর উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি, আমি সংখ্যাগুলি নামিয়ে আনতে চাই। আমি বলেছি আমি আইনী অভিবাসনকে সাদরে গ্রহণ করতে চাই। আমি মনে করি অবৈধ অভিবাসন দেশের জন্য নিঃসন্দেহে ক্ষতিকর। তাছাড়া আমি যে কাজ করছি তা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, কনজারভেটিভরা ২০১০ সালের সাধারণ নির্বাচনী প্রচারের পর থেকে কম অভিবাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে, যখন ডেভিড ক্যামেরন বলেছিলেন যে তার দল অভিবাসনকে “কয়েক হাজারে” সীমাবদ্ধ রাখবেন। যদিও কনজারভেটিভ সরকার কখনও এটি অর্জন করতে পারেনি এবং প্রতিশ্রুতিটি তাদের ঘাড়ে এখনও ঝুলে আছে।
অভিবাসন নিয়ে কনজারভেটিভ সরকারের তীব্র সমালোচনা করে আসছে লেবার পার্টি দীর্ঘদিন হতে। লেবার পার্টির কেয়ার স্টারমার অভিবাসন নিয়ে সর্বোচ্চ সরব রয়েছেন বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়। কেয়ার স্টারমারের মতে অবৈধ অভিবাসন নিয়ে বর্তমান সরকারের সকল কাজ শুধুমাত্র হাস্যরসের জন্ম দিচ্ছে।