অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়িত করার অঙ্গীকার নিয়ে গত বছর ব্যাপক নির্বাচনী প্রচারণা চালান ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর গত নভেম্বরে মার্কিন নির্বাচনে ভূমিধস জয়লাভ করেন। ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার পরেই শতাধিক নির্বাহী আদেশে সই করে ঝড় তুলেন। এসব আদেশের মধ্যে অবৈধ অভিবাসীকে তাড়ানো ইস্যুও ছিল।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরইমধ্যে অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে পাঁচ শতাধিক অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অনেক অভিবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
তবে রয়টার্স বলছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে আসা একটি মার্কিন সামরিক বিমানকে অবতরণের অনুমতি দেয়নি মেক্সিকো। শুক্রবার মার্কিন সামরিক বিমান দুটি ফ্লাইটে প্রায় ১৫০ অবৈধ অভিবাসীকে গুয়াতেমালায় নামিয়ে আসে; কিন্তু অবতরণের অনুমতি না মেলায় সি–১৭ পরিবহন বিমান মেক্সিকোতে নামানোর পরিকল্পনা কার্যকর করা যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর দুই কর্মকর্তা এই ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। এনবিসি নিউজ প্রথম খবর দেয় যে, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিমানকে অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
শুক্রবার পরের দিকে মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের ‘খুবই চমৎকার সম্পর্ক’ বিদ্যমান এবং অভিবাসনের মতো বিষয়গুলোতে তারা একে অপরকে সহায়তা করে যাচ্ছে।
তবে মার্কিন বিমানকে অবতরণের অনুমতি না দেওয়ার কারণ কী রয়টার্সকে তা জানাননি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেক্সিকান কর্মকর্তা। এ ছাড়া মেক্সিকোতে বিমান নামানোর অনুমতি না মেলার ঘটনায় মন্তব্য চাইলেও তাৎক্ষণিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পেন্টাগনের সাড়া পায়নি রয়টার্স।
সূত্রঃ রয়টার্স
এম.কে
২৫ জানুয়ারি ২০২৫