TV3 BANGLA
আন্তর্জাতিক

অভিবাসনে খড়গঃ এইচ-১বি ভিসায় বছরে ১ লাখ ডলার ফি বসালেন ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য এইচ-১বি ভিসায় বছরে এক লাখ ডলার ফি বসানোর সিদ্ধান্তে স্বাক্ষর করেছেন। একইসঙ্গে তিনি ধনী ব্যক্তিদের জন্য ১০ লাখ ডলারের ‘গোল্ড কার্ড’ এবং ৫০ লাখ ডলারের ‘প্লাটিনাম কার্ড’ ভিসার ঘোষণা দিয়েছেন। কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যে আইনি চ্যালেঞ্জের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

বর্তমানে এইচ-১বি ভিসায় লটারিতে অংশ নিতে খরচ হয় মাত্র ২১৫ ডলার, অনুমোদিত হলে আরও কয়েক হাজার ডলার ফি দিতে হয়। তবে নতুন নীতিতে মার্কিন কোম্পানিগুলোকে প্রতি বছর প্রতিটি কর্মীর জন্য এক লাখ ডলার দিতে হবে। সাধারণত তিন থেকে ছয় বছরের জন্য এই ভিসা দেওয়া হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক জানিয়েছেন, এতে ভিসা প্রদান উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাবে।

সমালোচকরা বলছেন, এইচ-১বি ভিসার মাধ্যমে ভারত ও চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে দক্ষ কর্মীরা কম বেতনে যুক্তরাষ্ট্রে কাজের সুযোগ পেতেন, যা মার্কিন কোম্পানিগুলোকে স্থানীয়দের তুলনায় সস্তায় কর্মী নিয়োগের সুযোগ দিতো। তবে ট্রাম্পের যুক্তি—এবার থেকে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে চাইলে আমেরিকানদেরই প্রশিক্ষণ দিয়ে নিয়োগ দিতে হবে।

নতুন নীতিতে বিনিয়োগভিত্তিক ভিসার খরচও বহুগুণ বেড়েছে। ১০ লাখ ডলারের বিনিময়ে পাওয়া যাবে ‘গোল্ড কার্ড’, আর কোম্পানি যদি কর্মীর জন্য এ কার্ড নিতে চায় তবে খরচ হবে ২০ লাখ ডলার। ৫০ লাখ ডলারের ‘প্লাটিনাম কার্ড’ বিদেশিদেরকে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে আয়কৃত অর্থে করমুক্ত সুবিধা দেবে। অধ্যাপক, বিজ্ঞানী, শিল্পী ও খেলোয়াড়দের জন্য পূর্বের নাগরিকত্বভিত্তিক ভিসা এখন এ কার্ডগুলো প্রতিস্থাপন করবে।

প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যামাজন, অ্যাপল, গুগল ও মেটা এখনও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি। তবে অ্যাডভোকেসি গ্রুপ ইউএস টেক ওয়ার্কারস ট্রাম্পের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। অপরদিকে, সাবেক কর্মকর্তা ডাগ র‌্যান্ড একে “অতিমাত্রায় আইন বহির্ভূত ও বাস্তবিকভাবে অকার্যকর” বলে অভিহিত করেছেন। তার মতে, ট্রাম্প কেবল অভিবাসনবিরোধীদের খুশি করতেই এ পদক্ষেপ নিয়েছেন।

মার্কিন সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত বছর অনুমোদিত এইচ-১বি ভিসার ৭১ শতাংশ ভারতীয় কর্মীরা পেয়েছেন, আর ১১.৭ শতাংশ গেছে চীনের হাতে। চলতি বছরের শুরুতে শুধু অ্যামাজন ও তার ক্লাউড ইউনিট এডব্লিউএসের জন্যই অনুমোদিত হয়েছে ১২ হাজারের বেশি ভিসা। মাইক্রোসফট ও মেটা প্রত্যেকেই পেয়েছে ৫ হাজারের বেশি ভিসা।

সূত্রঃ রয়টার্স

এম.কে
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আরো পড়ুন

পুলিশের উপর জনগণের আস্থা ফেরাতে কাজ করছে সরকার

আমরা ইসরায়েলের পাশে আছিঃ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

স্থুলতাজনিত হৃদরোগের ওষুধ উইগোভিকে ফের ছাড়পত্র ইইউ’র