যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তারা অভিবাসন নিয়ে আলোচনার জন্য মেক্সিকোতে যাওয়ার পরিকল্পনা করার একদিন আগে হাজার হাজার অভিবাসী এবং আশ্রয়প্রার্থী গত মঙ্গলবার মার্কিন সীমান্তে পৌঁছানোর আশায় দক্ষিণ মেক্সিকান রাজ্য চিয়াপাসের উত্তরে চলে গিয়েছে।
মার্কিন পরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি প্রধান আলেজান্দ্রো মায়োরকাস মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডরের সাথে দেখা করতে মেক্সিকো গেছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানিয়েছেন, এই সফরের মধ্য দিয়ে মেক্সিকোর সঙ্গে একটি চুক্তি করার চেষ্টা করবেন মার্কিন প্রতিনিধিরা। এতে দুই দেশ মিলে এই অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকানোর একটি পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা যাবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন টেলিফোনে লোপেজ ওব্রাডোরের সাথে কথা বলার এক সপ্তাহ পরে এই বৈঠকটি আয়োজন করা হচ্ছে। এসময় দুই নেতা বলেছিলেন যে, তাদের ভাগ করা সীমান্তে আরো কঠোরতা আরোপের প্রয়োজন রয়েছে।
অভিবাসী এবং আশ্রয়প্রার্থীরা গতকালও অনেক ছোট বাচ্চা বহন করে দক্ষিণ মেক্সিকান শহর ভিলা কমল্টিটলানের কাছে মহাসড়ক ধরে হাঁটছিল। কারো কারো হাতে ‘দারিদ্র্য থেকে যাত্রা’ লেখা ব্যানার ছিল।
জাতিসংঘের মতে, সহিংসতা, অর্থনৈতিক দুরবস্থা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব থেকে বাঁচতে অভিবাসী এবং আশ্রয়প্রার্থীরা মেক্সিকো হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান। কলম্বিয়া এবং মধ্য আমেরিকার বিপজ্জনক ডারিয়েন গ্যাপ অতিক্রম করার সংখ্যা এ বছর অর্ধ মিলিয়নের উপরে উঠেছে, যা গত বছরের রেকর্ড দ্বিগুণ।
অভিবাসী অধিকার কর্মী লুইস গার্সিয়া ভিলাগ্রান বৈঠকের সমালোচনা করে বলেছেন, কর্মকর্তাদের প্রধান উদ্বেগ হল অভ্যন্তরীণ নির্বাচনী সমস্যা এবং অভিবাসীদের মার্কিন সীমান্তে পৌঁছানো বন্ধ করা। এই লক্ষ্যে আরো প্রায়োগিক প্রচেষ্টা শুধুমাত্র দরিদ্রদের ক্ষতি করবে।
সূত্রঃ রয়টার্স
এম.কে
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪