জীবন গড়ার স্বপ্ন নিয়ে বিদেশগামীদের নতুন পছন্দের গন্তব্য হয়ে উঠেছে তুরস্ক। কারণ, সেদেশের সরকার ঘোষিত নাগরিকত্ব প্রোগ্রাম অনুযায়ী কোনো ভাষাগত বাধা বা অন্য কোনো শর্ত ছাড়াই পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকে অনলাইনে বা সরাসরি তুরস্কে এসে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার ডলার সমপরিমাণ মূল্যের যেকোনো স্থায়ী সম্পদ কিনলেই পরিবারের সবার জন্য পাওয়া যায় তুর্কি পাসপোর্ট। বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব অর্জনকারী পাসপোর্টধারীরা তুরস্কের সাধারণ নাগরিক হিসেবেই গণ্য হবেন।
ফলে, অভিবাসন প্রত্যাশীদের কাছে ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে ইউরোপ ও এশিয়া মহাদেশের সংযোগকারী ইউরোশিয়া খ্যাত এই দেশটি। ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং আধুনিকতার সংমিশ্রণে গঠিত সমাজ ব্যবস্থার কারণে অনেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তুরস্কে স্থায়ী হচ্ছেন। আমেরিকা, কানাডা এবং মধ্যপ্রাচ্যে সহ অনান্য দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও এই ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। তুরস্কে অভিবাসী প্রত্যশীরা প্রোপার্টি ক্রয়ের ক্ষেত্রে পছন্দের শীর্ষে ইস্তানবুল শহর ও পার্শ্ববর্তী বুরসা, দক্ষিণের ভূমধ্যসাগর তীরের বোডরুম, ফেতিহ ও আনাতোলিয়া।
শহরগুলোতে বিনিয়োগের পেছনে অন্যতম কারণ হল অনুকূল আবহাওয়া, নৈসর্গিক পরিবেশ, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উচ্চ রিটার্ন, স্বল্পব্যয়ে উন্নত জীবনযাপন এবং পাশাপাশি অভিবাসীবান্ধব সরকার এবং জনগণ। পরিসংখ্যান বলছে বছরে প্রায় ১৫ হাজার বিদেশি প্রোপার্টি ক্রয় করে তুরস্কে নাগরিকত্ব নিচ্ছেন।
তুরস্কের পাসপোর্ট দিয়ে বিনা ভিসায় ভ্রমণ করা যায় ১১৬ টি দেশে এবং এটি বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী পাসপোর্ট । তাছাড়াও তুরস্কের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর ভিসা ফ্রি ভ্রমণের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে, যা বাস্তবায়ন হলে তুর্কি পাসপোর্টধারী দের ইউরোপ ভ্রমনে কোন ভিসার প্রয়োজন হবেনা। অনান্য দেশে বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পেতে যেখানে ৫ লাখ ডলারের ও বেশি প্রয়োজন হয় যেটা কিনা তুরস্কে মাত্র আড়াই লাখ ডলার এবং এই সম্পত্তি ভাড়া দিয়ে মাসিক আয় ও নাগরিকত্বও পাবার পরে বিক্রয় ও করে দেয়া যায়।
বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্বের প্রোগ্রামে তহবিলের উৎস দেখানোরও প্রয়োজন হয় না। আবেদনের জন্য কোনো আলাদা যোগ্যতা বা শিক্ষাগত যোগ্যতা বা কোনো ধরনের আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। পরিবারের সদস্যদের প্রাথমিক, উচ্চ বিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার প্রয়োজন সহ তুরস্কে বিনামূল্যে শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। তুরস্কে সমস্ত স্বাস্থ্যসেবাও সরকারি বিমার মাধ্যমে অতি অল্প খরচে পাওয়া যায়।
বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের এই প্রোগ্রামে আকৃষ্ট করতে তুরস্ক সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে propertyturkey.com সহ নানা প্রতিষ্ঠান। এটি লন্ডন ভিত্তিক একটি বহুজাতিক কোম্পানি যা ২০০১ সাল থেকে তুরস্কে বিদেশি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠায় অবদান রেখে চলেছে। তুরস্কের ইস্তানবুলসহ বিভিন্ন বড় শহরে প্রায় দশটি অফিস এবং বিভিন্ন উন্নত দেশে নিজস্ব অফিস এ কর্মরত বিভিন্ন ভাষাভাষী কয়েক শতাধিক কনসালটেন্ট এর মাধ্যমে তুরস্কে আগত বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সব ধরনের প্রপার্টি কেনার ক্ষেত্রে পরামর্শ এবং এই সম্পর্কিত সব কার্যক্রমের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে থাকে বিশেষায়িত এই প্রতিষ্ঠান।
বিনিয়োগকারীরা ফ্রিতেই নিজ ভাষায় বিনিয়োগ সম্পর্কিত সব তথ্য জেনে নিতে পারেন । তুরস্কে প্রবেশের পর থেকে সহজ উপায়ে সঠিক প্রপার্টি বাছাই, ক্রয় করা, ভাড়া দেয়া এবং পরবর্তীতে বিক্রয় করার ক্ষেত্রেও propertyturkey.com বিনামূল্যে সাহায্য করে থাকে। তাছাড়াও নিজস্ব লিগ্যাল টিমের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের তুরস্কের নাগরিকত্বের আবেদন এবং যেকোন ধরনের আইনগত সমস্যার ক্ষেত্রেও সহায়তা দিয়ে থাকে।
আপনি যদি বাংলা ভাষাভাষী কনসালটেন্টের সহায়তায় তুরস্কে নাগরিকত্ব নিতে ও তথ্য জানতে আগ্রহী হন তাহলে যোগাযোগ করতে পারেন এই অনলাইন ঠিকানায়: propertyturkey.com/?utm_source=Bangladesh.
১০ অক্টোবর ২০২১
সূত্র: ঢাকা টাইমস