অনিয়মিত অভিবাসন মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তের মতো ইউরোপের বহিঃ সীমান্তকে উঁচু প্রাচীর দিয়ে ঘিরে ফেলা উচিত বলে মনে করেন অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কার্ল নেহামার।
তিনি বলেন, ইউরোপে ক্রমবর্ধমান শরণার্থী আসার পরিপ্রেক্ষিতে অবৈধ অভিবাসন রোধ করতে ইইউ বহিঃ সীমান্তকে একটি উঁচু প্রাচীর দিয়ে ঘিরে দেওয়া উচিত। যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তের মতো একই মডেল অনুসরণ করা উচিত।
কার্ল নেহামারের উদ্ধৃতি দিয়ে বৃটিশ গণমাধ্যম জানিয়েছে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়কালে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে নির্মিত সীমান্ত বেড়ার মতো একই ধরনের প্রাচীর ইউরোপেও তৈরী করা উচিত।”
উল্লেখ্য, মেক্সিকো সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি প্রাচীরটি প্রায় দশ মিটার উঁচু এবং তিন হাজার ২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ।
অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর বলেন, “সীমান্ত প্রাচীর বেশ উঁচু হওয়া উচিত পাশাপাশি প্রযুক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে ক্রমাগত নজরদারি বাড়াতে হবে। তার মতে, এটিই একমাত্র উপায়, যার মধ্য দিয়ে অবৈধ অভিবাসীদের ইইউতে প্রবেশ ঠেকানো যাবে। তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বহিঃ সীমান্তের পরিস্থিতি গুরুতর, বিপুল সংখ্যক অভিবাসী রুটে অপেক্ষা করছে।
নেহামারের মতে, প্রায় ত্রিশ লাখ আফগান ইউরোপের দিকে আসছে। তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পের পর এই অঞ্চলে নতুন করে আরও লোক আসতে পারে।
এছাড়া সিরিয়া থেকেও আরও দশ লাখ শরণার্থী তাদের দেশ ছেড়ে উন্নত জীবনের আশায় পালিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
অস্ট্রিয়ার ইউরোপীয় বিষয়ক মন্ত্রী ক্যারোলিন এডস্ট্যান্ডলার সুরও তার চ্যান্সেলরের মতো। তিনি বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন অভিবাসন নীতি সংশোধন করার পরই রোমানিয়া এবং বুলগেরিয়াকে সেনজেন জোনে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে অস্ট্রিয়া সমর্থন করবে।
এই বিবৃতিগুলো মূলত ক্রোয়েশিয়া সেনজেন জোনের সদস্য হওয়ার পরে এসেছে। কারণ চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে দেশটির সেনজেনভুক্ত দেশ হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে।
অপরদিকে, অস্ট্রিয়ার আপত্তির কারণে রোমানিয়া এবং বুলগেরিয়া সেনজেন সদস্যপদ প্রাপ্তি দেরি হচ্ছিল বলে খবরে জানা যায়।
ইইউর সীমান্ত ও কোস্ট গার্ড এজেন্সি ফ্রন্টেক্সের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, ইইউ-এর বহিঃ সীমান্তে চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে অনিয়মিত অভিবাসীল আগমণ ১১ হাজান ৯৫১ এ পৌঁছেছে।
এছাড়া সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগরীয় রুটেও অভিবাসন প্রত্যাশীদের ভিড় বাড়ছে।