যুক্তরাজ্যের চলমান কর্মীসংকট মোকাবেলায় সেদেশের আশ্রয়প্রার্থীদের কাজ করার অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে নিজেকে ‘ওপেন মাইন্ডেড’ বা ‘মুক্তমনা’ হিসেবে তুলে ধরেছেন নতুন জাস্টিস সেক্রেটারি ডমিনিক রাব। এই ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে অ্যাসাইলাম ক্লেইম প্রক্রিয়াকরণের অপেক্ষায় থাকা লোকদের একীভূত করে যুক্তরাজ্যে ইতিবাচক অবদান রাখাতে সুযোগ দেওয়া উচিত বলে মনে করেন এই প্রাক্তণ পররাষ্ট্র সচিব।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দ্য স্পেকটেটরকে দেওয়া তার এই বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও অনুসারীরা যারা বর্তমান নীতিমালায় পরিবর্তন আনার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। যুক্তরাজ্যের বেশীরভাগ আশ্রয়প্রার্থীর মামলা চলমান অবস্থায় কাজের অনুমোতি দেওয়া হয় না, আর হোম অফিসের ধীরগতির কারণে কাজের অধিকার পাচ্ছেন না বহু লোক।
স্পেকটেটরের ওই সাক্ষাৎকারে একজন শরণার্থীর সন্তান হিসেবে মি. রাবকে জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি অ্যাসাইলাম ক্লেইম পেন্ডিং থাকা লোকদের কাজের অনুমতি দেবেন কিনা। তিনি উত্তরে বলেন, এই ব্যাপারে সবসময়ই আমার মন খোলা থাকবে।
উল্লেখ্য, ইহুদি বাবার সঙ্গে শিশুকালে চেকোস্লোভাকিয়া থেকে পালিয়ে এসেছিলেন বর্তমান ব্রিটিশ জাস্টিস সেক্রেটারি।
তিনি বলেন, আমাদেরকে এই বিতর্কটি ঘুরিয়ে দিতে হবে। গত ২০-৩০ বছরে অভিবাসন নিয়ে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে- তা আমার বাবা এখানে আসার সময় সম্ভবত ছিল না। তখন ভাষা শিখলেই কাজ করা যেত, যা তাদেরকে আরও ভালোভাবে ইতিবাচক অবদান রাখতে এবং সংহত করতে পেরেছে।
সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, নিয়োগকর্তাদের উচিত কারাবন্দিদের জন্য আরও বেশি পেইড কাজের ব্যবস্থা করা। আমরা বন্দি এবং অপরাধীদের স্বেচ্ছাসেবা এবং বিনা বেতনে কাজ করাই। কর্মী সংকটের এই সময়ে আমরা কেন তাদেরকে বেতনভুক্ত কাজে নিচ্ছি না?
যুক্তরাজ্যের নিয়মে, আশ্রয়প্রার্থীরা কাজের জন্য আবেদন করতে পারেন শুধুমাত্র যদি তাদের দাবি প্রাথমিক সিদ্ধান্তের জন্য এক বছরেরও বেশি সময় নেয় বা বিলম্ব হয়। এরপর তাদেরকে কাজের অধিকার দেওয়া হলেও তারা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পেশায় কাজ করতে পারেন, যা শ্রমিকের অভাব দূর করতে পারছে না। এদিকে হোম অফিসে ২০১৮ সালের অ্যাসাইলাম কেস এখনও পেন্ডিং এমন অভিযোগ অনেক আসছে।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১
এনএইচ