সলিসিটরস রেগুলেশন অথরিটি (SRA) যেন কোনো আইন ফার্মে হঠাৎ হস্তক্ষেপ বা তা বন্ধ করার আগে হাই কোর্টের অনুমোদন নিতে বাধ্য হয়—এমন দাবি তুলেছেন প্রখ্যাত ব্যারিস্টার ও কুইন্স কাউন্সেল গ্রেগরি ট্রেভারটন-জোনস কেসি। তিনি বলেন, SRA-এর ‘অপরিকল্পিত ও অবিবেচক’ সিদ্ধান্তগুলোর কারণে একাধিক আইনজীবীর জীবন ও ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়েছে, অথচ পরবর্তীতে দেখা গেছে তারা নির্দোষ।
দ্য ল সোসাইটি গ্যাজেটে আজ প্রকাশিত এক বিশেষ প্রতিবেদনে ট্রেভারটন-জোনস কেসি বলেন, “SRA-এর উচিত নিজেদের ওপর ‘প্রয়োজনীয় জবাবদিহিতা’ আরোপ করা এবং কোনো ফার্মে হস্তক্ষেপের আগে হাই কোর্টের স্বীকৃতি নেওয়া বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত।”
তিনি উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন দক্ষিণ লন্ডনের অভিবাসন আইনজীবী রাশিদ খানের ঘটনা, যার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। অথচ দীর্ঘ তদন্ত ও শুনানির পর জানা যায়, তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ। ততদিনে তার পেশাগত জীবন ও স্বাস্থ্য বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল প্রফেশনাল আচরণবিধি ভঙ্গের, যার প্রেক্ষিতে SRA তার অফিস বন্ধ করে দেয় ও তার লাইসেন্স বাতিল করে দেয়। পরে আদালতের রায়ে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন, কিন্তু সেই দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় তার মানসিক ও আর্থিক ক্ষতি অপূরণীয়।
ট্রেভারটন-জোনস কেসি আরও বলেন, “কোনো ফার্ম বন্ধ করা বা একজন আইনজীবীর জীবনকে ওলটপালট করে দেওয়া এমন সিদ্ধান্ত একতরফাভাবে নেওয়া যায় না। এ ধরনের ক্ষমতার অপব্যবহার ঠেকাতে আদালতের তত্ত্বাবধান প্রয়োজন।”
আইনজীবীদের একটি বড় অংশ ও পেশাদার সংগঠনগুলো এ দাবির পক্ষে মত দিয়েছে। তাদের বক্তব্য, SRA-এর কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত না হলে আইন পেশায় স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়বে।
সূত্রঃ দ্য ল সোসাইটি গ্যাজেট
এম.কে
০৩ মে ২০২৫