5.9 C
London
November 22, 2024
TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

আগামীকাল জরুরি বৈঠকের ডাক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদর দফতরে

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদর দফতরে ০৩ আগস্ট অফিসার পর্যায়ের কর্মকর্তাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ের জন্য ডাকা হয়েছে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের একটি খবরে জানা যায়।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, সেনাবাহিনীর আফিসারদের মধ্যে দেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য উত্তেজনা বিরাজ করছে। শেখ হাসিনা রেজিম শিক্ষার্থীদের আন্দোলন রোধে সেনাবাহিনীর কিছু ইউনিটকে ব্যবহার করতে পদক্ষেপ নিতে চায়। সেনাবাহিনীর অফিসারেরা সরকারের এই পদক্ষেপ ও ব্যর্থতা নিয়ে অখুশি বলে জানা যায়। তাছাড়া ইতোমধ্যে সেনাটহল ব্যবহার করা নিয়েও অফিসারেরা নাখোশ বলে জানা যায়।

সেনাবাহিনীর অফিসারেরা সরকারের সিদ্ধান্তে নাখোশ থাকার কারণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদর দফতরে অফিসারদের মতামত নিতে একটি “আইডিয়াস এক্সচেঞ্জ” সভা হবে বলে জানা যায়।

২ আগস্ট সেনাবাহিনী সদর দফতরের দ্বারা জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে ঢাকা, মিরপুর ও সাভারে অবস্থিত সকল অফিসারদের অবশ্যই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে হবে। বিজ্ঞপ্তিটি বাংলাদেশের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত সেনবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান দ্বারা নির্দেশিত।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে শেখ হাসিনাকে জানিয়েছিল যে সকল জুনিয়র অফিসার ও মধ্য পর্যায়ের সমস্ত অফিসার শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সরকারের এই হিংস্রতাকে ভালো চোখে দেখছেন না। এতো এতো মানুষের মৃত্যু আর রাস্তায় আর্মির টহল সবকিছু মিলিয়ে জনসাধারণকে বিক্ষুব্ধ করে তুলছে।

তথ্যমতে জানা যায়, সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় ২৭,০০০ কর্মকর্তা ও সেনা মোতায়েন করেছে। ৮৬ স্বতন্ত্র সিগন্যাল ব্রিগেডকে ডাকা হয়েছে পুলিশ, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র‍্যাব) এবং সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে ব্যাক-আপ সহায়তা প্রদানের জন্য। সেনাবাহিনীর চেইন অফ কমান্ড থেকে ভিতরে ভিতরে প্রশ্ন উত্থাপিত হতে চলেছে সরকারের এই স্বৈরাচারী আচরণে। সেনাবাহিনী সরকারের এই দূর্নামকে নিজেদের দিকে টানতে চাইছে না তাছাড়া জাতিসংঘ কিংবা বিদেশী কূটনৈতিক মিশনেও সেনাবাহিনীকে বাজেভাবে উপস্থাপন করছে রাস্তায় আর্মি ট্যাংক ঘুরে বেড়ানোর কারণে।

উল্লেখ্য ০৩ আগস্ট সেনা সদর দপ্তরে মিটিং বেলা দেড়টায় শুরু হওয়ার কথা রয়েছে এবং সমস্ত অফিসার এবং সৈন্যদের দুপুর ১ টার ভিতরে তাদের আসন গ্রহণ করতে জানানো হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ জুড়ে পাঁচ দিনের বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতার সময়, পুলিশ এবং ছাত্রলীগের ক্যাডাররা বুলেট প্রুফ জ্যাকেট, হেলমেট পরে বন্দুক ব্যবহার করেছে আপামর জনসাধারণের উপর। সেনাবাহিনী হত্যাকাণ্ড রোধে কোনও পদক্ষেপ না নেয়ায় ব্যাপক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। সেনা সদস্যরা নিজেদের ভিতরে এই বিষয় নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত কারণ সেনাবাহিনীর গাড়িকে দেওয়াল বানিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের অন্য বাহিনী এবং ছাত্রলীগ মানুষ মারছে। এর দায় সেনাবাহিনীর উপর এসে পড়তে পারে এবং নিজেদের বিবেকের কাছে সেনাসদস্যরা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন বলে আলোচনা চলছে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর গুলি চালানোর সময় রাস্তায় সেনা টহল থাকায় পুরো সেনাবাহিনী প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। এই মৃত্যু উপত্যকা সৃষ্টিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দায় সেনাবাহিনীর উপর বর্তাচ্ছে বলে অনেক সেনা অফিসারেরা মনে করেন। এর ফলে দেশে গৃহযুদ্ধ সৃষ্টি হতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিটি আরো জানানো হয়, সেনাবাহিনীর সামরিক গোয়েন্দা ইউনিট পুরো মিটিংয়ের ভিডিও ধারণ করবে এবং সভার ছবি তুলবে। সেনাবাহিনীর আইটি উইং বাংলাদেশ জুড়ে অবস্থিত সেনাবাহিনীর অন্যান্য ইউনিটে ডিজিটাল ভিডিও এবং স্থিরচিত্র পাঠানোর জন্য দায়বদ্ধ থাকবে।

(সূত্রঃ ভারত হতে প্রকাশিত নর্থ ইস্ট নিউজের চন্দন নন্দির কলাম হতে)

এম.কে
০২ আগস্ট ২০২৪

আরো পড়ুন

বয়স ৬৫ হলেই মেয়াদ কমিয়ে পাসপোর্ট দেয়া হচ্ছে

পুলিশ-আন্দোলনকারী সংঘর্ষে কাজলা-শনিরআখড়া রণক্ষেত্র

চলমান ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সব গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ ঘোষণা