আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডা পাঠানো ঠেকাতে ইউরোপীয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইটসের (ইসিএইচআর) যেকোনো সিদ্ধান্ত মেনে নিতে যুক্তরাজ্যের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আদালতটির প্রধান বিচারক৷
গত সপ্তাহে বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে ফ্রান্সের স্ট্রাসবুর্গের আদালতটির প্রধান বিচারক সিওফ্রা ও‘লিয়েরি এমন মন্তব্য করেছেন৷
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের ঠেকাতে যুক্তরাজ্যে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডায় পাঠানোর পরিকল্পনা করেছিল যুক্তরাজ্য৷ আর এমন পরিকল্পনা ঠেকাতে ২০২২ সালের জুনে রুল জারি করেছিল ইউরোপের মানবাধিকার আদালত৷
এ বছর যুক্তরাজ্যে নির্বাচন তার আগেই আশ্রয়প্রার্থীদের নিয়ে রুয়ান্ডায় ফ্লাইট পাঠাতে চায় যুক্তরাজ্যের রক্ষণশীল প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক৷
ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতের প্রেসিডেন্ট সিওফ্রা ও’লিয়ারি যুক্তরাজ্যকে ইঙ্গিত করে বলেন, মানবাধিকার ইস্যুতে ইউরোপীয় কনভেনশনে সই করেছে যুক্তরাজ্য৷ তাই আদালতের নির্দেশ অমান্য করা মানেই তা আন্তর্জাতিক আইন লংঘন করা৷
অভিবাসীদের জীবন সম্ভাব্য ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে বলেই আদালত এমন সিদ্ধান্ত দিয়েছিল বলেও জানান তিনি৷
আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডা পাঠানোর সিদ্ধান্তটিকে খারিজ করে দিয়েছে যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত৷ কিন্তু তাতেও দমে যাননি ঋষি সুনাক৷ রুয়ান্ডাকে নিরাপদ দেশের স্বীকৃতি দেয়ার উদ্দেশে দেশটির সঙ্গে নতুন চুক্তি করেছে যুক্তরাজ্য সরকার৷ এই প্রসঙ্গে পার্লামেন্টে তোলা হয়েছে একটি বিল৷ সেই বিলে অবশ্য পার্লামেন্টের নিম্মকক্ষ অর্থাৎ হাউস অব কমন্সের সম্মতি মিলেছে৷ এখন উচ্চকক্ষের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে৷
রুয়ান্ডায় আশ্রয়প্রার্থীদের পাঠানোর পরিকল্পনাটি আন্তর্জাতিক আইনের লংঘন নয় বলে মনে করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সুনাক৷ ইউরোপীয় আদালতের মন্তব্যের পর এ কথা জানিয়েছেন সুনাকের একজন মুখপাত্র৷
ওই মুখপাত্র আরো বলেন, ‘‘আমরা নিশ্চিত যে আমাদের পরিকল্পনা কোনোভাবেই আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার পরিপন্থি নয়৷’’
সূত্রঃ এএফপি
এম.কে
৩০ জানুয়ারি ২০২৪