দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করেই যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিছুদিন আগে তিনি পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেওয়ার হুমকি এবং ডেনমার্কের কাছ থেকে গ্রিনল্যান্ড কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে তারও আগে তিনি কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর উপস্থিতিতে তার দেশকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে একীভূত হয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। ট্রাম্প আবারও সেই একই প্রস্তাব দিয়েছেন গতকাল সোমবার।
তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তার পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই ট্রাম্প কানাডার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সংযুক্তির প্রস্তাব দেন।
ট্রাম্প তার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে শেয়ার করা এক পোস্টে বলেন, ‘অনেক কানাডীয় (যুক্তরাষ্ট্রের) ৫১ তম রাজ্য হওয়ার বিষয়টি পছন্দ করে। যুক্তরাষ্ট্র আর কানাডার বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি এবং ভর্তুকি সহ্য করতে পারছে না—কিন্তু এগুলো আবার কানাডার টিকে থাকার জন্য প্রয়োজন। জাস্টিন ট্রুডো এটি জানতেন এবং তিনি পদত্যাগ করেছেন।’
সোমবার সকালে ট্রুডো তার দলের ভেতরে বেড়ে চলা অসন্তোষ এবং জনসমর্থনের নিম্নমুখী রেকর্ডের কারণে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এতে তার নেতৃত্বে পরবর্তী নির্বাচনে শক্তিশালী কনজারভেটিভ বিরোধীদের বিরুদ্ধে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে বড় ধরনের সন্দেহ তৈরি করেছে।
কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাণিজ্যিক সম্পর্কের সমস্যাগুলো তুলে ধরে ট্রাম্প তার পোস্টে আরও বলেন, ‘কানাডা যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত হয়, তাহলে কোনো শুল্ক থাকবে না, কর ব্যাপকভাবে কমে যাবে এবং তারা পুরোপুরি সুরক্ষিত থাকবে রাশিয়া এবং চীনা জাহাজের হুমকি থেকে। কারণ, এগুলো সব সময় তাদের ঘিরে রাখে।’ এ সময় তিনি কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র মিলে একটি মহান জাতি হতে পারে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘কী মহান একটি জাতি এটি হতে পারে!!!’
এর আগে, গত নভেম্বরের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, কানাডা চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১ তম অঙ্গরাজ্যে পরিণত হতে পারে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের বাসভবন মার-এ-লাগোতে এলে এ কথা বলেন।
সূত্রঃ আনাদোলু এজেন্সি
এম.কে
০৭ জানুয়ারি ২০২৫