ইতালির সব ধরনের ভিসা পেতে সম্প্রতি হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। কাগজপত্র ঠিক থাকার পরও ঢাকার ইতালির দূতাবাসের বিরুদ্ধে ভিসা না দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে ভিসা বাতিল হলেও ইতালির আইনে আপিল করার সুযোগ রয়েছে। এতে ভিসা পাওয়ার অধিকার ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে বলেই মনে করেন ইমিগ্রেশন বিশেষজ্ঞরা।
কর্মসংস্থান, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও পারিবারিক ভিসার জন্য প্রতিদিন শত শত মানুষ আবেদন করেন ঢাকার ইতালীয় দূতাবাসের ভিএফএস গ্লোবাল এজেন্সিতে। তবে আগে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও ২০২৩ সালের আগস্ট মাস থেকে প্রতিদিনই বাংলাদেশিদের প্রায় ৯০ শতাংশ ভিসা রিফিউজ করছে দেশটি।
এতে হতাশ দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। হয়রানি ও অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বাংলাদেশি ভিসা আবেদনকারীরা।
ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিস থেকে নোলাস্তা বা পারমিট নিয়ে ভিসার জন্য ইতালীয় দূতাবাসে আবেদন করেন বাংলাদেশিরা। প্রতিটি ভিসা রিফিউজ করার পর, ভিসা প্রার্থীদের হাতে ধরিয়ে দেয়া হয় ৬০ দিনের মধ্যে আপিল করার অনুমতিপত্র।
এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কাগজপত্র সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, মালিকপক্ষ ইতালীয় আদালতে দেশটির ইমিগ্রেশন আইন অনুযায়ী আপিল করতে পারেন। পরে ঢাকার ইতালির দূতাবাসকে আবেদনকারীকে ভিসা দেয়ার নির্দেশ দিয়ে থাকেন আদালত। তবে এতে দীর্ঘসূত্রিতার পাশাপাশি পোহাতে হয় ভোগান্তি।
ভিসার আবেদন বাতিল হলেও, সঠিক নিয়ম মেনে ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ইতালির আদালতে আপিল করা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন ইমিগ্রেশন বিশেষজ্ঞরা। কিছুটা সময় ও অর্থ ব্যয় হলেও, এতে বাংলাদেশি আবেদনকারীদের ভিসা পাওয়ার অধিকার ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে বলে করেন তারা।
এম.কে
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪