স্কটল্যান্ডের প্রাক্তন ফার্স্ট মিনিস্টার হুমজা ইউসুফের স্ত্রী নাদিয়া এল-নাকলা বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় তার পরিবারকেও অনাহারে রেখেছে ইসরায়েল।
স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির প্রাক্তন নেতা হুমজা ইউসুফ এবং এল-নাকলা বুধবার (২৩ জুলাই) একটি ভিডিওতে একসঙ্গে উপস্থিত হয়ে গাজায় তাদের পরিবারের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন।
এল-নাকলা বলেন, ইসরায়েলি সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে তার চাচাতো ভাই স্যালি এবং তার চার সন্তান; সেই সঙ্গে তার খালা হানান, তার সন্তান এবংও ৭ মাস বয়সী একটি শিশুসহ নাতি-নাতনিদের অনাহারে রেখেছে।
তার পরিবার দেইর আল-বালাহ শহরে বাস করে, যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী এই সপ্তাহেও বোমা হামলা করেছে।
চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন এবং গাজায় ত্রাণ নিষেধাজ্ঞার নীতি গাজাকে দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি করেছে। সেখানে ২০ লাখ বাসিন্দা অনাহারে রয়েছে। ১০০টিরও বেশি মানবাধিকার সংস্থা এই সপ্তাহে সতর্ক করেছে, গাজায় ‘ব্যাপক অনাহার’ ছড়িয়ে পড়ছে।
এল-নাকলা আরও বলেন, ‘গুলি ও বোমাবর্ষণের সময় ক্ষুধার্ত মানুষদের দৌড়াতে বাধ্য করা হচ্ছে।’
এ সময় হুমজা ইউসুফ বলেন, ‘গাজার শিশুরা যখন ক্ষুধার্ত, বাস্তুচ্যুত, বোমাবর্ষণে জর্জরিত – বিশ্ব তখন শুধু হা করে দেখছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্যালি গাজার লাখ লাখ মানুষের একজন। তার স্বামী সারাদিন খাবারের খোঁজে বাইরে বের হন, প্রায়শই কিছুই না নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। তাছাড়াও তীব্র অনাহারের কারণে ডাক্তার এবং সাংবাদিকরা রোগীদের চিকিৎসা করতে বা সংবাদ পরিবেশন করতে অনেক সমস্যায় পড়েছেন।’
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর এল-নাকলা বাবা-মা ও পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর চার সপ্তাহ ধরে গাজায় আটকা পড়েছিলেন। পরে তারা অন্যান্য ব্রিটিশ নাগরিকদের সঙ্গে মিশর হয়ে স্কটল্যান্ডে ফিরে যান।
সূত্রঃ আল জাজিরা
এম.কে
২৯ জুলাই ২০২৫