দক্ষিণ সুদান থেকে আসা ১৮ বছর বয়সী এক তরুণ জানিয়েছেন, তার জীবনের স্বপ্ন হলো যুক্তরাজ্যে পৌঁছানো। তার ভাষায়, “ইংল্যান্ডই আমার স্বপ্নের দেশ, আমি সবসময় নিজেকে ব্রিটিশ মনে করেছি।”
জন নামের ওই তরুণ দুই বছর আগে, মাত্র ১৬ বছর বয়সে গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত দক্ষিণ সুদান থেকে ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান। এখন তার লক্ষ্য ইংল্যান্ডে পৌঁছে একটি নতুন জীবন শুরু করা। তিনি বলেন, “ওই দেশ আমাদের শাসন করেছে, তাই আমি সেখানে গেলে নিজেকে নিজের জায়গায় মনে হবে। আমি আফ্রিকায় জন্মালেও মনের দিক থেকে আমি ব্রিটিশ।”
তিনি আরও জানান, যুক্তরাজ্যে পৌঁছাতে পারলে তিনি কঠোর পরিশ্রম করে একটি ভালো পেশা গড়ে তুলবেন। সাংবাদিকতা কিংবা মানবসম্পদ বিভাগে কাজ করার ইচ্ছা তার। বলেন, “কষ্ট করে খেতে চাই। আমি সাহায্য নিতে আসছি না, নিজে গড়তে এসেছি।”
জন এখন অপেক্ষায় আছেন সেই মুহূর্তটির, যখন ছোট নৌকায় করে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেবেন। তবে এই ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রাকে তিনি তেমন ভয় পাচ্ছেন না। তার ভাষায়, “এই পথের কষ্ট কিছুই না, আমি এর চেয়ে অনেক বড় ভয়াবহতা দেখে এসেছি।”
২০১৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ সুদানে চলেছে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ। সরকার ও বিরোধী পক্ষের সংঘাতে প্রায় চার লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় লন্ডনের এক গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
অন্যদিকে, ব্রিটেন ও ফ্রান্স এখন নতুন এক চুক্তির দিকে এগোচ্ছে, যেখানে ইউরোপে থাকা ব্রিটিশ-সম্পর্কিত শরণার্থীদের যুক্তরাজ্যে আনার বিনিময়ে ছোট নৌকায় চড়াদের ফেরত পাঠানো হবে ইউরোপে।
এই প্রস্তাবে উভয় দেশের সরকার বলছে, অনিয়মিত অভিবাসন রোধে “মানবিকতা ও ন্যায়বিচার” বজায় রেখেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে সেই কূটনীতি, সেই চুক্তি কিংবা রাজনীতির কৌশল — কিছুই থামাতে পারছে না জন-এর আশা।
তার চোখে, “ইংল্যান্ড মানে ভবিষ্যৎ। আমি শুধু একটি সুযোগ চাই — বাঁচার, গড়ার এবং প্রমাণ করার।”
সূত্রঃ এক্সপ্রেস
এম.কে
০৯ জুলাই ২০২৫