করোনা মহামারির সময় যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবে বাইডেন প্রশাসন সেই নিষেধাজ্ঞা তুলতে সম্মত হয়েছে। তবে নতুন নিয়মের বেড়াজালে মেক্সিকো সীমান্তে অবস্থান করা অভিবাসন প্রত্যাশীরা অনিশ্চয়তায় পড়েছেন। বহু অভিবাসী আটকে আছেন সীমান্তসংলগ্ন এলাকায়।
খবরে জানা যায়, এসব অভিবাসন প্রত্যাশীদের বেশির ভাগ উত্তর, দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছেন। এশিয়ার বিভিন্ন দেশেরও কিছু অভিভাসন প্রত্যাশী রয়েছে।
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, অবৈধ উপায়ে কেউ যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করলে দীর্ঘমেয়াদি নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারেন। ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগও আনা হতে পারে।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী আলেহান্দ্রো মায়োরকাস সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘আমাদের সীমান্ত খোলা নেই।’
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে অভিবাসন ব্যতীত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জনসংখ্যা হ্রাস পাবে।
ইমিগ্রেশন বিশেষজ্ঞদের মতে, এশীয় জনগোষ্ঠীর দ্রুত সম্প্রসারণ ঘটছে আমেরিকায়। তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত বছর দ্রুত বর্ধনশীল জাতি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মার্কিন আদমশুমারি ব্যুরো দ্বারা প্রকাশিত পরিসংখ্যানের তথ্যমতে, গত বছর বিভিন্ন জাতি ও গোষ্ঠীর মানুষের প্রবেশ ঘটেছে আমেরিকায় যা আগের বছরের তুলনায় ০.৪% বেশি।
আদমশুমারি ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী জনসংখ্যা বৃদ্ধি দুটি উপায়ে ঘটে, অভিবাসন এবং প্রাকৃতিক বৃদ্ধির মাধ্যমে। যখন জন্মহার কমে যায় মৃত্যু হার বৃদ্ধি পায় তখন তা দেশের উপর বিরুপ প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়।
সেন্ট লুইসের আন্তর্জাতিক ইনস্টিটিউটের সভাপতি এবং সিইও অ্যারি ওবেনসন বলেন, অভিবাসী এবং শরণার্থী সম্প্রদায়গুলি প্রতিভা, সংস্কৃতি এবং আমাদের সম্প্রদায়ের প্রয়োজনীয় দক্ষতা নিয়ে আসে বিধায় তারা সহজেই নতুন পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিতে পারে।
২০২০ সালের এপ্রিল মাসে মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে, যে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে তার বেশিরভাগই অভিবাসনের দরুন ঘটেছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায় অভিবাসী হিসেবে এশীয়, সাদা কিংবা কালো সহ বিভিন্ন জাতির মানুষের আগমন ঘটছে আমেরিকায় প্রতিনিয়ত। যারা আমেরিকার অর্থনীতিতে চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে।
এম.কে
২৩ জুন ২০২৩