সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাতের একটি ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ রয়েছে। ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর অন্যান্য মন্ত্রী-এমপিদের মতো গা ঢাকা দেন তিনি। তবে সচল ছিল তার ফেসবুক পেজ। কিন্তু ১৫ আগস্টের পর আর কোনো পোস্ট দিতে দেখা যায়নি তার পেজ থেকে।
কারা চালাচ্ছেন মোহাম্মদ এ আরাফাত ফেসবুক পেজ- এমন অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা যায়, তার পেজের মোট পাঁচজন এডমিন। যেখানে চারজনের লোকেশন বাংলাদেশে এবং একজনের লোকেশন ভারতে দেখাচ্ছে। তা নিয়ে রহস্য দানা বাঁধছে। মোহাম্মদ এ আরাফাতের অবস্থান নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
তার ফেসবুক পেজে দেখা যায়, গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত ওই পেজে নিয়মিত পোস্ট করা হচ্ছিলো। এরপর ৯ দিন কোনো পোস্ট করা হয়নি সাবেক এই তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পেজ থেকে। গত ১৪ ও ১৫ আগস্ট পর পর দুইদিন দুটি পোস্ট করা হয়। তারপর আর কোনো পোস্ট করতে দেখা যায়নি।
এদিকে গত ১৪ আগস্ট সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত ঢাকার ফরাসি দূতাবাসে লুকিয়ে রয়েছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ঢাকার ফরাসি দূতাবাস।
বুধবার (১৪ আগস্ট) ফেসবুকে প্রকাশিত ফরাসি দূতাবাসের এক বার্তায় বলা হয়, এমন একটি গুজব সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যে, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আরাফাত ফরাসি দূতাবাসে লুকিয়ে আছেন। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এদিকে গত ১২ আগস্ট সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, তার স্ত্রী ও তাদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিত করার আদেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংকর আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ। সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মোহাম্মদ আলী আরাফাত ও তার স্ত্রী শারমিন মুশতারী এবং তাদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নামে কোনো ব্যাংক হিসাব পরিচালিত হলে আগামী ৩০ দিনের জন্য সেগুলোর লেনদেন স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়া হলো।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত ঢাকার একটি আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি। তিনি কোথায় আছেন, সে সম্পর্কেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এম.কে
২২ আগস্ট ২০২৪