15.1 C
London
April 30, 2024
TV3 BANGLA
বাংলাদেশশীর্ষ খবর

পাঁচ বছরে পর্তুগালে নাগরিকত্ব নিয়েছে আড়াই হাজারের বেশি বাংলাদেশী

২০১২ সাল থেকে গোল্ডেন ভিসার মাধ্যমে বিদেশীদের স্থায়ী অভিবাসনের সুযোগ দিচ্ছে পর্তুগাল সরকার। এ কর্মসূচির আওতায় এতদিন দেশটির রিয়েল এস্টেট খাতে বিনিয়োগ বা মূলধন স্থানান্তর অথবা নতুন ব্যবসা চালুর মাধ্যমে পর্তুগালে স্থায়ী অভিবাসনের সুযোগ ছিল। বিশেষ করে রিয়েল এস্টেট খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রচুর বিদেশী নাগরিক সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ নিয়েছেন। এক্ষেত্রে তাদের দুই ধরনের ক্যাটাগরিতে বিনিয়োগ করে দেশটির রেসিডেন্ট পারমিট সংগ্রহ করতে হয়েছে। এর মধ্যে একটি ক্যাটাগরিতে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বিনিয়োগ করতে হয়েছে কমপক্ষে ৫ লাখ ইউরো। আরেকটি ক্যাটাগরিতে বিনিয়োগ করতে হয়েছে সাড়ে ৩ লাখ ইউরো।

ইন্টারন্যাশনাল মাইগ্রেশন আউটলুক ২০২৩ শীর্ষক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে পর্তুগালে নাগরিকত্ব নিয়েছেন ৩ হাজার ৩৬৩ জন বাংলাদেশী। এর মধ্যে শেষের পাঁচ বছর ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যেই নিয়েছেন ২ হাজার ৫৬৮ জন। দেশটিতে সবচেয়ে বেশি নাগরিকত্ব গ্রহণকারী অভিবাসীদের উৎস হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান এখন অষ্টম। পর্তুগালে বাংলাদেশীরা নাগরিকত্ব সবচেয়ে বেশি নিয়েছে ২০২১ সালে। ওই বছর দেশটির নাগরিকত্ব গ্রহণকারী বাংলাদেশীর সংখ্যা ছিল ৭৮৮। দেশটিতে অভিবাসন গ্রহণকারী বাংলাদেশীদের একটি অংশ সেখানকার পাসপোর্ট নিয়েছেন ব্যয়বহুল গোল্ডেন ভিসার সুবাদে।

স্থানীয় গণমাধ্যম ও অভিবাসন সেবাদাতা কোম্পানিগুলোর তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত আবাসন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমেই পর্তুগালে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বিদেশী গোল্ডেন ভিসার সুবিধা নিয়েছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এ খাতে বিদেশীদের বিনিয়োগ ব্যাপক মাত্রায় বেড়ে যাওয়ায় দেশটির আবাসন খাতে স্থানীয়দের ব্যয়ও অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। এর ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আবাসন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে গোল্ডেন ভিসার সুযোগ বন্ধের ঘোষণা দেয় পর্তুগিজ সরকার, যা চলতি মাসেই কার্যকর হয়েছে।

তবে পর্তুগালে মূলধন স্থানান্তর বিজনেস ক্যাটাগরিতে গোল্ডেন ভিসা গ্রহণের সুযোগ এখনো রয়েছে। ক্যাপিটাল ট্রান্সফার ক্যাটাগরিতে গোল্ডেন ভিসার জন্য অভিবাসন প্রত্যাশীকে নির্দিষ্ট কিছু ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ডে কমপক্ষে ৫ লাখ ইউরো বিনিয়োগ করতে হয়। এছাড়া এ ক্যাটাগরিতে কমপক্ষে ১০টি কর্মসংস্থান তৈরি বা সরকারি-বেসরকারি বৈজ্ঞানিক গবেষণা খাতে অন্তত ৫ লাখ ইউরো বিনিয়োগের মাধ্যমেও পর্তুগালের গোল্ডেন ভিসা পাওয়া যাবে। এর বাইরেও শিল্প ও সংস্কৃতি খাতের নির্দিষ্ট কিছু কার্যক্রমে আড়াই লাখ ইউরো বিনিয়োগের মাধ্যমে গোল্ডেন ভিসায় আবেদনের সুযোগ রয়েছে।

বিজনেস ক্যাটাগরিতে ৫ লাখ ইউরো বা তার বেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে অন্তত পাঁচটি স্থায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী পর্তুগিজ আইনের অধীনে নিবন্ধিত নতুন কোম্পানি গঠনের মাধ্যমেও এ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন অভিবাসন প্রত্যাশীরা। তবে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে বৈধভাবে মূলধন স্থানান্তরের সুযোগ নেই বললেই চলে। এ অবস্থায় অর্থ পাচারসহ অবৈধ নানা পন্থায় মূলধন স্থানান্তরের মাধ্যমে এদেশী ধনীরা পর্তুগালে গোল্ডেন ভিসা গ্রহণ করেছেন বলে সন্দেহ অভিবাসনসংশ্লিষ্টদের।

এম.কে
২৫ অক্টোবর ২০২৩

আরো পড়ুন

কেন সিলেটকেই কেন্দ্র করে জঙ্গিদের এই অপতৎপরতা?

অনলাইন ডেস্ক

করোনায় ৭০ হাজারেরও বেশি প্রবাসী কাজ হারিয়ে দেশে ফিরেছেন

অনলাইন ডেস্ক

নেপালে ফের বড় মাত্রার ভূমিকম্প, কাঁপলো দিল্লিও