প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার জানিয়েছেন, যেসব দেশ আশ্রয়প্রত্যাখ্যাত নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানাবে, তাদের নাগরিকদের ভিসা পাওয়া কঠিন করে তোলা হবে। কানাডার জি-৭ সম্মেলনে তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য এখন “লেনদেনভিত্তিক” কৌশল নিতে যাচ্ছে।
স্টারমার বলেন, যেসব দেশ নিজ নাগরিকদের ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যমুখী অনিয়মিত যাত্রা ঠেকাতে সহযোগিতা করছে না, তাদের ক্ষেত্রেও একই কঠোরতা প্রযোজ্য হবে। ভিসা অনুমোদনের ক্ষেত্রে এখন থেকে এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া হবে।
বর্তমানে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আলবেনিয়া, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশসহ ১১টি দেশের প্রত্যাবাসন চুক্তি রয়েছে। এই চুক্তির আওতায় আশ্রয় প্রত্যাখ্যাতদের দ্রুত ফেরত পাঠানো যায়, যার কারণে অনেক ক্ষেত্রে নতুন আবেদন হ্রাস পেয়েছে।
স্টারমার বলেন, “আমরা একাধিক দ্বিপাক্ষিক প্রত্যাবাসন চুক্তি করেছি। এখন ভাবছি, এসব দেশের সঙ্গে আরও কার্যকর সম্পর্ক স্থাপনের অংশ হিসেবে ভিসা নীতিকে আরও চৌকসভাবে ব্যবহার করা যায় কি না।”
জি-৭ সম্মেলনের অভিবাসনবিষয়ক অধিবেশনে স্টারমার আরও জানান, তিনি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এবং জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মার্জ-এর সঙ্গে ছোট নৌকায় আগত অনিয়মিত অভিবাসীদের বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, “ফরাসিদের সঙ্গে আমরা কীভাবে বিদ্যমান কৌশল শক্তিশালী করতে পারি এবং আরও কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা করছি। ইতালির অভিজ্ঞতা থেকেও শেখার সুযোগ আছে, কারণ তারা কিছু সফল প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে।”
ম্যাক্রোঁ, মেলোনি ও মার্জ-এর সঙ্গে আলোচনায় স্টারমার সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ, শক্তিশালী আইন প্রয়োগ ও নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়েও একমত পোষণ করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা চাই অভিবাসন রোধে সম্মিলিত ও ফলপ্রসূ পদক্ষেপ নেওয়া হোক।”
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
১৮ জুন ২০২৫