2.2 C
London
November 21, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

ইউকের নানা বিধিনিষেধ এনএইচএসের বিদেশি নার্সদের দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে

বিদেশি এনএইচএস নার্সদের “দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে” বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ হিসাবে বলা হয়েছে ইউকের কল্যান বিধি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যে বিদেশি স্বাস্থ্যকর্মীরা ৫ বছর মেয়াদি সরকারের কোনো সুবিধা ভোগ করতে পারবে না।

রয়্যাল কলেজ অফ নার্সিং (আরসিএন)-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদেশি স্বাস্থ্যকর্মীরা অর্থ ধার করে সংসার চালাতে হচ্ছে। ক্রেডিট কার্ডের ঋণ পরিশোধ করতে তারা হিমসিম খাচ্ছে।

বিদেশি স্বাস্থ্যকর্মীদের পাবলিক ফান্ড ব্যবহারের কোনও নিয়ম নেই। যদি কেউ পাবলিক ফান্ড ব্যবহার করে থাকে তাহলে আইএলআর আবেদনে সমস্যা হতে পারে বলে নিয়মানুযায়ী জানা যায়। বিধি অনুযায়ী বিদেশি স্বাস্থ্যকর্মী তাদের শিশুদের জন্যও কোনো ধরনের বেনিফিট বা আবাসন সুবিধা এবং সর্বজনীন ক্রেডিট সুবিধা সরকার হতে গ্রহণ করতে পারে না।

আরসিএন সরকারের কাছে এই সকল নিয়ম বাতিল করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

একজন নার্স যুক্তরাজ্যে তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে বলেন, “ আমাকে মানুষের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে সংসার চালাতে হচ্ছে। অনেক রাত কিংবা দিন খাবার ছাড়াই কাটাতে হয়। ঘরের বিল আর ঘর ভাড়া প্রদান করতে নাভিশ্বাস উঠে।”

ইংল্যান্ডের আরসিএন -এর নির্বাহী পরিচালক প্যাট্রিসিয়া মার্কুইস বলেন: “ বর্তমান ব্যবস্থাটি বিদেশি স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য খুবই কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। বাস্তবতা হ’ল অভিবাসী নার্সিং কর্মীদের দারিদ্র্যতার দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। যার কারণে অনেকে যুক্তরাজ্য ছেড়ে দেয়ার কথা ভাবছেন যা যুক্তরাজ্যের রোগীদের জন্য হবে এক করুণ ট্র্যাজেডি”।

উল্লেখ্য যে সাম্প্রতিক সময়ে এনএইচএস বিদেশী কর্মীদের উপর আরও বেশি নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে। ইংল্যান্ডে বর্তমানে তিনজনের মধ্যে একজন নার্স নন-ইউকে নাগরিক। ৩৬% চিকিৎসক বর্তমানে নন-ইউকে নাগরিক এটাও ধর্তব্যে নিতে হবে। তাই বিদেশি স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি যত্ন না নিলে ভেঙ্গে পড়তে পারে এনএইচএস সার্ভিস বলে মত দিয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান

এম.কে
২৯ আগস্ট ২০২৪

আরো পড়ুন

ইসরায়েলে কিছু অস্ত্র রপ্তানি স্থগিত করছে যুক্তরাজ্য, জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

অ্যাসাইলামপ্রার্থীদের প্রকাণ্ড আটককেন্দ্রে পাঠাবে হোম অফিস

অনলাইন ডেস্ক

একদিনের জন্য ইমিগ্রেশন অফিসার