10.1 C
London
November 5, 2024
TV3 BANGLA
শীর্ষ খবরসারাদেশ

ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘে বাংলাদেশের অবস্থানে অসন্তুষ্ট পশ্চিমা মিত্ররা

ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে উত্থাপিত প্রস্তাব বাংলাদেশ সমর্থন না করায় কয়েকটি পশ্চিমা দেশ নাখোশ হয়েছে। কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও তার কয়েকটি মিত্র দেশ আলাদাভাবে বাংলাদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনায় তাদের অসন্তুষ্টি জানিয়েছে।

 

কূটনৈতিক সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে গণমাধ্যমগুলো জানায়, সারা বিশ্ব যখন একসুরে রাশিয়ার ভূমিকার নিন্দা জানিয়েছে, তখন বাংলাদেশসহ ৩৫টি দেশ কেন নিন্দা প্রস্তাবকে সরাসরি সমর্থন করেনি তা নিয়ে বিশ্লেষণ চলছে। এরই অংশ হিসেবে পশ্চিমা কিছু দেশ বাংলাদেশের কাছে অবস্থান স্পষ্টভাবে জানতে চেয়েছে।

 

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ডাকা এক জরুরি বৈঠকে নিরপেক্ষ অবস্থান নেয় বাংলাদেশ। ১ মার্চের এই বৈঠকে বাংলাদেশ নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের নেতৃত্বে সংলাপের মাধ্যমে সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর জোর দেয়। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের উপপ্রধান মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন এই বিতর্কে যোগ দেন। তিনি এই সংকট সমাধানে কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়ার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবকে আহ্বান জানান।

 

এরপর ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার নিন্দা ও হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে গত ২ মার্চ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে উত্থাপিত প্রস্তাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়নি বাংলাদেশ, ভারত, চীনসহ ৩৫ দেশ। তারা সবাই প্রস্তাবের পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান না নিয়ে ‘অ্যাবস্টেইন’ (পক্ষে-বিপক্ষে কোনোটাই নয়) ভোট দিয়েছে। প্রস্তাবটি শেষ পর্যন্ত ১৪১-৫ ভোটে গৃহীত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সিনেট কমিটির শুনানিতে বলেছেন, ভারতের অবস্থান পরিবর্তন করতে তারা ওই দেশটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

 

জাতিসংঘে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট না দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘প্রস্তাবের শব্দগুলো যদি আপনারা পড়েন সেখানে দেখবেন, সেগুলো যুদ্ধ বন্ধের আহ্বানের মধ্যে পড়ে না। সেটি কাউকে দোষারোপ-টোষারোপ করার জন্য। ’

 

তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তির দেশ। আমরা শান্তি চাই। কোথাও কোনো জায়গায় যুদ্ধ হোক আমরা তা পছন্দ করি না। আমরা বলেছি, এই দুর্ঘটনা (ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান) যেটি হচ্ছে সে জন্য আমরা অত্যন্ত গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সেই সঙ্গে আমরা আশা করব, জাতিসংঘের সনদ সবাই মেনে চলবে। ’

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বলেছি, বাংলাদেশ সব সময় আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করতে চায়। এই বিরোধটাও যেন শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হয়। ’

 

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বলেছি, সেখানে (ইউক্রেনে) বিভিন্ন দেশের নাগরিক আছেন। প্রত্যেকের যেন নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। শেষে আমরা বলেছি, জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতি আমাদের যথেষ্ট আস্থা আছে। আমরা বলেছি, তাঁর উদ্যোগ নেওয়া উচিত আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের। ’

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এই বক্তব্যগুলো তুলে ধরেছি জাতিসংঘে। আমরা শান্তির সপক্ষে ভোট দিয়েছি। ’

 

৭ মার্চ ২০২২
এনএইচ

আরো পড়ুন

যুক্তরাজ্যের হাসপাতালে চরম বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ

‘থ্রটলড’ আইফোন ব্যবহারকারীদের ৭৫০ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতিপূরণ

ফোর্বসের তালিকায় বাংলাদেশি নবনিতা