ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষস্থানীয় সংস্থা বলেছে, ইউরোপ জুড়ে মুসলমানরা বর্ণবাদের শিকার হচ্ছে। তুলনামূলকভাবে যা আগের সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। মুসলিমদের উপর এই ধরনের আক্রমণাত্মক আচরণ বেশি “উদ্বেগজনক” বলে জানিয়েছে সংস্থাটির কর্তা ব্যক্তিরা। “মুসলিম বিরোধী বক্তৃতা” রাজনৈতিক ভাবে দেওয়ার কারণে মুসলিম বিদ্বেষ বাড়ছে বলে মনে করে ইইউর শীর্ষস্থানীয় অধিকার সংস্থা। একটি সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মুসলিমরা জানিয়েছেন তারা সম্প্রতি বৈষম্য অনুভব করছেন সমাজে।
ইইউ এজেন্সি ফর ফান্ডামেন্টাল রাইটস (এফআরএ) জানায়, সমীক্ষায় ১৩ টি মুসলিম রাষ্ট্রের ৯,৬০০ জন মুসলমান অংশগ্রহণ করেছিলেন। সমীক্ষায় দেখা গেছে মুসলমানদের জীবনে বেশিরভাগই বর্ণবাদ এবং বৈষম্যের শিকার হয়েছে।
মুসলিমরা জানিয়েছেন যে, শিশুদের স্কুলে ভর্তি করা থেকে শুরু করে বাড়ি ভাড়া বা কেনাকাটার কাজের ক্ষেত্রেও বৈষম্য রয়েছে।
বিশেষত তরুণ মুসলমানদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে আলোচনা করে জানা যায়, ইউরোপে জন্মগ্রহণকারী অর্ধেকেরও বেশি মুসলমান (৫৫%) বলেছেন যে তারা গত পাঁচ বছরে কাজের সন্ধান করতে গিয়ে জাতিগতভাবে বৈষম্যবোধ করেছিলেন। তারা জানান একই ভাষার ক্ষমতা এবং যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাদের সাথে চাকুরী দেওয়ার ক্ষেত্রে সমান আচরণ করা হচ্ছে না।
যে মুসলিম মহিলারা ধর্মীয় পোশাক পরিধান করেন তারা শ্রমবাজারে বৈষম্যের স্বীকার হয়ে থাকেন। ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সের মহিলারা ধর্মীয় পোশাকের কারণে ৫৮% বৈষম্যের শিকার হয়ে থাকেন।
এফআরএ অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রীস, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, লাক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, স্পেন এবং সুইডেনের মুসলমানদের সাথে সমাজে তাদের বৈষম্যের অবস্থা নিয়ে কথা বলেছে। তথ্যমতে জানা গিয়েছে ২০২২ এর আগে বর্ণবাদ রিপোর্ট হয়েছিল ৪৭%, ২০১৬ সালে এর সংখ্যা ছিল ৩৯%।
উল্লেখ্য জরিপটি অনুসরণ করলে দেখা যায় যে, ইইউ জুড়ে জরিপ করা প্রায় অর্ধেক কৃষ্ণাঙ্গ মানুষ বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। তাছাড়া সমস্ত ইউরোপ জুড়ে মুসলিমরা প্রতিনিয়ত বৈষম্যের শিকার হয়ে যাচ্ছেন।
প্রতিবেদনে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে “বর্ণবাদ এবং জাতিগত বৈষম্য” সমস্ত ইইউ জুড়ে একটি নিয়মিত ঘটনা এবং এটি সমাধান করা দরকার।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
২৫ অক্টোবর ২০২৪