টিভিথ্রি ডেস্ক: করোনা সংক্রমণরোধে বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশের সঙ্গে রোমের বিমান চলাচল বন্ধের মেয়াদ আরও বাড়ানো হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শনিবার (২২ আগস্ট) দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলোর সূত্রে এ খবর জানা যায়।
সংবাদে বলা হয়, ইতালির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে হারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে করে নতুনভাবে লকডাউন দেয়া উচিত। এতে প্রবাসী বাংলাদেশিসহ স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে।
জানা যায়, গত চার মাসে মধ্যে শুক্রবার (২১ আগস্ট) একদিনে ইতালিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। রাজধানী রোমের অবস্থাও একই।
ইতালিতে সবশেষ একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ৮৪৫ জন। এরমধ্যে লাজিও বিভাগে ১১৫ জন। স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, এই আক্রান্তদের মধ্যে শতকরা ৭৩ ভাগ দেশের বাইরে থেকে আসা। আর ৩৭ ভাগ ইতালির সার্ডিনিয়া থেকে আগত। এ অবস্থায় সংক্রমণরোধে বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশের সঙ্গে রোমের বিমান চলাচল বন্ধের মেয়াদ আরও বাড়ানো হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশি এক ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। মেনে চলতে হবে অন্যান্য স্বাস্থবিধি।
আরেক বাংলাদেশি বলেন, এভাবে যদি সংক্রমণের হার বাড়তে থাকে তাহলে সরকার হয়তো নতুন করে লকডাউন জারি করতে পারে। তাই সংক্রমণ এড়াতে সবার উচিৎ সতর্কতা মেনে চলা।
গেল ফেব্রুয়ারিতে ইতালিতে প্রথম করোনো রোগী শনাক্ত হয়। দেশটিতে এ পর্যন্ত দুই লাখ ৫৫ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ।
এদিকে ইতালিতে চাকরিচ্যুতির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অনেক রেস্টুরেন্ট এবং শিল্প প্রতিষ্ঠান কর্মচারি ছাঁটাই শুরু করেছেন। যাদের মধ্যে বাংলাদেশিও রয়েছেন।
এক বাংলাদেশি প্রবাসী বলেন, অনেকে চাকরিচ্যুত হয়েছে। আয়ের পথ হারিয়ে এখন বেকার। আগামীতেও হয়তো অনেকে চাকরি হারাবে। এ অবস্থা চলতে থাকলে প্রবাসীদের বিপদ আরো বাড়বে।
বাংলাদেশি এক নারী ব্যবসায়ী বলেন, করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা-বাণিজ্য। পর্যটক না থাকায় বেচা-বিক্রি একেবারেই নাই। ব্যবসা বাণিজ্যের অবস্থা খুব খারাপ। এ অবস্থা কতোদিন নাগাদ চলবে কেউ জানে না।
২২ আগস্ট ২০২০
এনএইচটি