ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সেখানে অবস্থানরত ব্রিটিশ নাগরিকদের অবিলম্বে নিজেদের অবস্থান যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দফতরে (FCDO) নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি সংসদে জানিয়েছেন, ইসরায়েল আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ায় দেশত্যাগে সহায়তার জন্য দ্রুত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। যারা দেশ ছাড়তে চান, তাদের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হবে।
ইসরায়েল ও ইরান পরস্পরের উপর বিমান হামলা অব্যাহত রাখায় পুরো অঞ্চলজুড়ে থাকা ব্রিটিশ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। এরইমধ্যে ইরানে সহায়তা কার্যক্রম কার্যত অসম্ভব বলে জানিয়েছে লন্ডন।
প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার কানাডায় জি৭ সম্মেলন থেকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলে অবস্থানরত ব্রিটিশ নাগরিকদের জন্য একটি অনলাইন পোর্টাল খোলা হচ্ছে, যেখানে তারা নিজেদের উপস্থিতি জানাতে পারবেন।
স্টারমার একইসঙ্গে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আলোচনায় মধ্যপ্রাচ্যের চলমান যুদ্ধ ছিল প্রধান বিষয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরে সম্মেলনে যোগ দেন। তবে বিশ্বনেতাদের এই একযোগে বৈঠককে ট্রাম্পের প্রতি একটি কৌশলগত বার্তা হিসেবেও দেখা হচ্ছে।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইসরায়েল সীমান্ত পেরিয়ে জর্ডান ও মিসরে পৌঁছাতে পারা নাগরিকদের সহায়তায় বিশেষ টিম পাঠানো হয়েছে। তবে সরাসরি উদ্ধার অভিযান চালানোর পরিকল্পনা এখনো নেই।
ল্যামি সতর্ক করে বলেছেন, সামনে আরও হামলা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। এই সংঘাত শুধু ওই অঞ্চল নয়, গোটা বিশ্বের জন্যই বড় ধরনের হুমকি।
স্টারমার বলেছেন, সংকট নিরসনে এখন সবচেয়ে প্রয়োজন উভয় পক্ষের সংঘর্ষ থেকে সরে আসা এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে যাওয়া।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
১৭ জুন ২০২৫