গত ৩১ জানুয়ারি মার্কিন ‘ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি’র প্রকাশিত রিপোর্ট থেকেই জানা যায় যে এইচ-১বি ভিসা এক লাফে ২০৫০ শতাংশ দামী হয়ে গিয়েছে। নতুন এই রেট অবশ্য এখনই কার্যকর হচ্ছে না। এগামী ১ এপ্রিল থেকে এই বর্ধিত ফি কার্যকর হবে। এ আবহে বৈধভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেতে ইচ্ছুক তরুণ-তরুণীদের মাথায় হাত পড়েছে।
এর আগে এইচ-১বি ভিসার জন্য আবেদন করতে খরচ করতে হত মাত্র ১০ ডলার। আর ১ এপ্রিল থেকে সেই ফি বেড়ে হয়ে যাবে ২১৫ ডলার। শুধু তাই নয়, ফি বেড়েছে এল-১ এবং ইবি-৫ ভিসার আবেদনের ক্ষেত্রেও। রিপোর্টে বলা হয়েছে, আগে যেখানে এল-১ ভিসার আবেদনের জন্য ৪৬০ ডলার দিতে হত, আগামী ১ এপ্রিল থেকে সেই ফি বেড়ে হয়ে যাবে ১৩৮৫ ডলার। অপরদিকে ইবি-৫ ভিসার ফি ৩৬৭৫ ডলার থেকে বেড়ে হয়ে যাবে ১১ হাজার ১৬০ ডলার।
এদিকে এইচ-১বি ভিসা পুনর্নবীকরণে জালিয়াতি এড়াতে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াতেও বদল আনা হয়েছে। এর আগে একজন ব্যক্তি বিভিন্ন সংস্থার হয়ে কাজ করার জন্য একাধিক আবেদন করতে পারতেন। যার ফলে নিয়মের ফাঁক গলে এই ভিসা নিয়ে প্রায়শই জালিয়াতির অভিযোগ উঠত। কিন্তু নতুন নিয়মে এখন থেকে একজন ব্যক্তি একটি আবেদনই করতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পাসপোর্ট নম্বর মিলিয়ে বাকি আবেদন স্বীকৃত হবে না।
২০২৫ সালের জন্য ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে এই নতুন নীতি কার্যকর হবে বলে জানা গিয়েছে। যাদের চাকরি ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের ১ অক্টোবরের পরে শুরু হবে, তারা এই নতুন নীতিতে আবেদন করবেন। ভিসার জন্য আবেদন জানানোর প্রাথমিক রেজিস্ট্রেশনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে চলতি বছরের ৬ মার্চ থেকে ২২ মার্চ।
প্রতি বছরই মার্কিন প্রশাসনের তরফে বিভিন্ন সংস্থাকে ৬৫ হাজার এইচ-১বি ভিসা দেয়া হয়। পাশাপাশি আরও ২০ হাজার ভিসা দেয়া হয় বেশি ডিগ্রি ধারক কর্মীদের। প্রতিটি ভিসার মেয়াদ তিন বছর এবং তা পরে আরও তিন বছরের জন্য রিনিউ করা যায়। সাম্প্রতিক বছরে সব থেকে বেশি সংখ্যক এইচ১বি ভিসা ব্যবহার করে আমেরিকায় কর্মী নিয়োগ করেছে ইনফোসিস, টিসিএস, অ্যামজন, মেটা, অ্যালফাবেট (গুগল-এর মালিক)।
এম.কে
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪