যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল অডিট অফিস (এনএও) সতর্ক করে বলেছে, ব্রেক্সিট পরবর্তী ব্রিটেনের সীমান্তের “নিয়ন্ত্রণ” ব্যবস্থা গড়ে তোলার ডিজাইন কবে গড়ে উঠবে তার কোনো সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। ব্রেক্সিট-পরবর্তী সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার পরিসমাপ্তি কবে ঘটবে তার সুস্পষ্ট কোনো সময়সূচি নিয়ে তাদের ধারনা নেই।
পাবলিক ব্যয় নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ওয়াচডগ বলেছে, ইইউ থেকে সম্পূর্ণ আমদানি নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের ফ্ল্যাগশিপ পরিকল্পনার বারবার পরিবর্তন এবং স্থগিতাদেশ ব্রিটেনের ব্যবসায়ের জন্য অনিশ্চয়তা বয়ে আনছে। যা যুক্তরাজ্য সরকারকে অতিরিক্ত ব্যয়ের দিকে পরিচালিত করছে।
বর্ডার টার্গেট অপারেটিং মডেল (বিটিওএম) পর্যায়ক্রমে প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়। প্রাণী ও উদ্ভিদ রফতানির জন্য ৩০ এপ্রিল নতুন সিস্টেম যোগ করা হয়েছে। যার পরবর্তী অংশ আগামী অক্টোবর মাসে প্রতিস্থাপন করা হতে পারে বলে জানা যায়। তবে সুরক্ষা ব্যবস্থার সম্পূর্ণ মডেলটি কবে চালু করা হবে তা এখনও পরিষ্কার নয়।
এনএওর প্রতিবেদন হতে জানা গিয়েছে, যে ব্যবস্থা কার্যকর করা হচ্ছে সীমান্তে সেই স্কিমটি বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকর একটি ব্যবস্থা হতে যাচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল অডিট অফিস বলেছে ২০২০ সালের শেষের দিক হতে এই রূপান্তর প্রক্রিয়ায় সরকার তার পরিকল্পনা পাঁচবার বিলম্ব করেছে। সময়ক্ষেপণ করায় অবকাঠামো এবং কর্মীদের জন্য যে অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে তার প্রয়োজন ছিল না যদি এটা দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করা হতো। এনএও অনুমান করেছে এই সিস্টেম কার্যকর করতে সামগ্রিক ব্যয় ৪.৭ বিলিয়ন পাউন্ড ধরা হয়েছে।
এনএওর প্রধান গ্যারেথ ডেভিস বলেছেন, “ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে আসায় যুক্তরাজ্যের সীমান্তে পণ্য চলাচলের ব্যবস্থায় একটি বৃহৎ আকারের পরিবর্তন আনা হচ্ছে। যদিও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ কখন প্রতিষ্ঠিত হবে তা এখনও পরিষ্কার নয়।”
উল্লেখ্য মুদ্রাস্ফীতি ও নানা অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের সময়ে অর্থ অপচয় নিয়ে ইতোমধ্যে নানা প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে। আসন্ন সাধারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই অর্থ অপচয় কনজারভেটিভ সরকারের জন্য বড় জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্রঃ দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট
এম.কে
২০মে ২০২৪