কনজারভেটিভদের নির্বাচনি পারফরম্যান্স সম্পর্কে সবচেয়ে ইতিবাচক দিকটি বলা যেতে পারে যে, তারা সম্পূর্ণ পরাজয় এড়াতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু এটা ঋষি সুনাকের জন্য তেমন ভালো সংবাদ নয়। তারা পরাজয় বরণ করেছে এবং পরবর্তী সময়ে তাদের আসন পুনরুদ্ধার করার জন্য লড়াই করতে হবে।
লিজ ট্রাস, জেকব রিস-মগ, পেনি মর্ডান্ট এবং গ্রান্ট শ্যাপসের মতো বেশ কয়েক জন জনপ্রিয় নেতা তাদের আসন হারিয়েছেন। তবে দুঃখের বিষয় হলো, তারা যে আসনগুলো হারিয়েছেন সেখানে, যেখানে কনজারভেটিভ পার্টির বেশ জনপ্রিয়তা ছিল। এই আসনগুলো হারানোর কারণে সেগুলো পুনরুদ্ধার করা তাদের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে।
এর চেয়ে খারাপ সংবাদ হলো নাইজেল ফারাজ, লি অ্যান্ডারসন ও রিচার্ড টাইচসহ রিফর্ম পার্টির এমপিরাও নীতিপ্রণয়নকারী দলে শক্তিশালী অবস্থানে চলে যাবে। এই দলটা নিশ্চিত গোলমাল করবে, যা কনজারভেটিভদের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করবে। এর ফলে তাদের কামব্যাক করাটা আরো বেশি কঠিন হয়ে পড়বে।
সামনে কনজারভেটিভ দলের নেতা কে হবেন—সেই প্রতিযোগিতায় যে প্রশ্নটি ঘুরেফিরে সামনে আসবে তা হলো নাইজেল ফারাজ ও তার দলের জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদেরকে দলের সঙ্গে রাখা হবে নাকি তাদের ছাড়াই এগিয়ে যাবে কনজারভেটিভ।
রিফর্ম দলের ভোটাররা কনজারভেটিভ দলের বিপর্যয়মূলক পরাজয়ে একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে। কনজারভেটিভ দলের জন্য একমাত্র সুসংবাদ হলো লেবার পার্টির ভূমিধস বিজয়ের পরেও তাদের ভোটারের সংখ্যা ২০১৯ সালের নির্বাচনের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়েনি। কনজারভেটিভদের ভোটার অন্যান্য দলের মধ্যে বিভক্ত হয়ে গেছে। তাই সংখ্যাগরিষ্ঠতার আকার স্টারমারের মনে তেমন আশা জাগাতে পারবে না। তার পরও পরবর্তী নির্বাচনে আরো শক্তিশালীভাবে ফিরে আসার জন্য তাদেরকে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হবে।
সূত্রঃ দ্য স্পেক্টেটর
এম.কে
০৮ জুলাই ২০২৪