শিকার নিষিদ্ধ ও আন্তর্জাতিকভাবে সংরক্ষিত ‘হাওবারা বুস্টার্ড’ পাখি হত্যার অনুমতি দিয়েছে পাকিস্তান। এমনিতেই প্রাণি সংরক্ষণে উদাসীনতা ও শিকারীদের পুরস্কার দেওয়ার জন্য বিশ্বে নিন্দিত পাকিস্তান। এ ঘোষণার পর আবারও নিন্দার ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশোবাদীরা।
আরব নিউজের খবরে বলা হয়, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি এবং তার পরিবারের ১৪ জন সদস্যকে হাওবারা বুস্টার্ড পাখি শিকারের বিশেষ অনুমতি দিয়েছে পাকিস্তান।
হাওবারা বুস্টার্ড আইইউসিএন-এর ‘সংরক্ষিত তালিকার’ অন্তর্গত। অর্থাৎ এ জাতের পাখি বিশ্বব্যাপী বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে। এ পাখির বিলুপ্তির প্রধান কারণ, নিয়ন্ত্রণহীন শিকার ও তাদের প্রাকৃতিক আবাস নষ্ট করা। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে হাওবারা বুস্টার্ড একটি বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি। শুধু আন্তর্জাতিকভাবেই নয় এ পাখি শিকার স্থানীয় বন্যজীবন সংরক্ষণ আইন অনুযায়ীও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি পাকিস্তানিদের এই পাখি শিকারের অনুমতি নেই।
এটা স্পষ্ট যে তেল সমৃদ্ধ উপসাগরীয় দেশগুলির বিশিষ্ট ব্যক্তিদের প্রভাবিত করার জন্য পাকিস্তান শিকারের অনুমতিকে পররাষ্ট্রনীতি হিসাবে ব্যবহার করছে। সূত্রমতে, অন্য শিকারীরা হলেন আমিরের বাবা, ভাই, কাতারের প্রধানমন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ভাই এবং রাজপরিবারের কিছু সদস্য।
টাকার বিনিময়ে শিকারের অনুমতি দেওয়ার জন্য পাকিস্তান কুখ্যাত। এ দেশে বিপুল টাকার বিনিময়ে মার্খোর এবং আইবেক্স শিকারের অনুমতি দেওয়া হয়। হতাশার বিষয় হচ্ছে মার্খোর পাকিস্তানের জাতীয় পশু। অর্থাৎ টাকার বিনিময়ে এ দেশের মানুষ তাদের জাতীয় পশু হত্যা করে।
সূত্র: এএনআই
নিউজ ডেস্ক