তারের রাজধানী দোহার পর এবার ইয়েমেনের রাজধানী সানা ও আল-জাওফ প্রদেশে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ইয়েমেন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ঘটনায় অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন। প্রাথমিক হিসাবে আহতের সংখ্যা ১১৮ হলেও উদ্ধারকাজ চলতে থাকায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইয়েমেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, হামলায় সানার আল-তাহরির এলাকার একটি আবাসিক ভবন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬০ নম্বর সড়কে অবস্থিত একটি চিকিৎসা কেন্দ্র এবং আল-জাওফ প্রদেশের রাজধানী আল-হাজমে একটি সরকারি স্থাপনা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেক মানুষ আটকা পড়েছেন।
কাতারভিত্তিক আল-জাজিরা জানায়, দমকল ও উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিতদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। একইসঙ্গে বোমাবর্ষণের পর সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছেন তারা। হুথি-নিয়ন্ত্রিত আল-মাসিরাহ টিভি জানায়, হামলায় সানার একটি চিকিৎসা কেন্দ্র ও আল-হাজমের স্থানীয় সরকার কমপাউন্ডকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়। এছাড়া মোরাল গাইডেন্স সদর দপ্তরসহ একাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, কাতার ও ইয়েমেনে ইসরায়েলের এ ধারাবাহিক হামলা শুধু সামরিক অভিযান নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে এক নতুন বাস্তবতার সূচনা। তাদের মতে, ইসরায়েল এখন আর কোনো ‘রেড লাইন’ মানছে না, বরং নিজেকে এমন শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছে যে যে কোনো সময়, যে কোনো স্থানে আঘাত হানতে পারে।
আল জাজিরার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক আলি হাসেম বলেন, সিরিয়ায় প্রতিদিন ইসরায়েলের হামলা যেমন অব্যাহত রয়েছে, এখন কাতার ও ইয়েমেনেও একই কৌশল দেখা যাচ্ছে। এটি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ঘোষিত নতুন সামরিক মতবাদ—“আগে আঘাত করো, আগে হত্যা করো”—এরই প্রতিফলন। তিনি সতর্ক করে বলেন, এই প্রবণতা মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘমেয়াদে আরও গভীর অস্থিরতা সৃষ্টি করবে।
সূত্রঃ আল জাজিরা
এম.কে
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫